খুঁজতে গেলাম জরদ সকাল;
সোঁদাল ঝরার ভোর বিহান,
আড়াল থেকে আওয়াজ এলো কোথায় যাবে আর?
সোনারঙের দুয়ার ছেড়ে;
অনেক আগেই পালিয়ে গেছে পীতাম্বরী মাঠ!
বুভুক্ষু সব বিকেলগুলো সঙ্গোপনে এসে,
চিকন পায়ে এগিয়ে গেছে পূবে!


কাজল গাঁয়ের শরীর জুড়ে কিশোরী এক শহর;
তা-ও নাকি ছাড়িয়ে গেছে সজল নদীর পাড়ে!
খেয়ার কড়ি ভাসিয়ে দিয়ে,
নায়ের মাঝি পেরিয়ে গেছে ধুধু তেপান্তরে!
শৈশব ছেঁড়া প্রসব ব্যথায় শুভ্রানদীর চর।
কষ্ট প্রহর গোনার মত রসিক যারা ছিলো,
তাঁরাও সব পালকি চাপা দুলকি নাগর,
- নিরুদ্দেশের ভাবের দেশে গুপ্ত পারাবারে!


নষ্ট হবার ভয়েই নাকি লজ্জা পেয়ে;
গলায়দড়ি দিছে প্রাণের ডাকাতিয়া খাল!
শেষ বোশেখের চড়ক শেষে,
অষ্টগ্রাসে গিলে খেলো সাধন বিধু'র হাট!
সন্ধ্যা সে-ও ঘুমিয়ে পড়া লুটের স্বপন;
ঝিমতে থাকা চাঁদনী পসর,
মাতাল হাওয়ায় ডুবসাঁতারে গিলছে বিষম জল!


উত্তুরে প্রেম ভুলতে বসা কদমতলীর ছায়া;
রাতচরা দল সবাই মিলে একটি ডানায় চড়ে
- হুতোম হয়ে দিচ্ছে কাছের উড়াল!
শুনতে থাকি ভাঙছে আকাশ;ধন্য পাহাড় শূন্য সাবাড়  
দখিন বাতাস বইতে গিয়ে,আটকে থাকে নবম ছাতে
- খোকসা হাসির হল্লা ছোটায় তল্লাটে শেয়াল"
ফিসফিসিয়ে আমার কানে গাইতে থাকে কেউ ...


ঝাপসা চোখে ঠিকই দেখি হাসনুহানার গান!
'রাতকুয়াশা ছিঁড়তে হবে কুচি কুচি করে,
নইলে সুজন মরবে গোপন যুঝে!
বাঁচাও বাঁচাও বাঁচো আপন নীড়ে
- ডাহুক প্রেমের চাতক সকাল দুপুর,
ছায়াবীথির বৃষ্টি ভেজা শব্দ নুপুর পরে
- দরদিয়া পরাণ জুড়াও মায়াবতী ভিড়ে।'


______________
© আগুন নদী © ২০২৩