♦♦

সাধুদের রঙ্গতীর্থে ভর্তি হবার পর-
    একরঙা জীবনের আলোচনা সভায়;
সাতরঙা মানুষের ভিড়ে মিশে যাই!
       সন্ত সাধনার লহরী শুনে;
    পায়ের শব্দহীন পদক্ষেপ গুনি,
মধুঅঙ্গে বাড়ে বিভঙ্গ গন্ধের প্রলেপ |


সঙ্গলাভের ভীষণ লোভে -
সিদ্ধহস্ত গুরু ধরি,ধোপদুরস্ত বাহক!
      লিখে ফেলি অখণ্ড ভেদ,
     নয় খণ্ড ভুলের শ্বেদকল্প!
সভাকবি থেকে একলাফে মহাকবি
    - রুখবে কে দুরন্ত গুলতানি!
গুরু হে গুরুত্ববান; স্বত্ব আলোচক,
শেখাও এ কেমন কঠিন বিভেদ?
খঞ্জরে পিঞ্জরে, তুমিও পদলেহক!
ঠিকুজিতে আঁকো, ঠাকুরঝি ছবি
'মানুষ' ছাড়া সবই বানাও
- ফানুশও অল্পস্বল্প |


খসড়া কুতর্কে বিশেষ বিতর্কের রাতে;
স্বাধীন পেশাজীবির তালিকাভুক্তি!
    একদল নগরবাউলের দায়মুক্তি;
একজন নৃপতি,একঝাঁক নর্তকীর সাথে
     চরিত্র সনদের পাণ্ডুলিপি এবং
- ঠোঁট মোছা রুমালটিও হারিয়ে যায় ||
___♦♦___


অবমুক্তির গান এভাবেই শুরু -
বিকৃতস্বর বিনষ্ট শ্রুতি,বিব্রত ঈশ্বর!
    বিবৃতির চোটে, নিভৃতে নিবৃতি,
গায়েবি রূপকল্পে ঠাঁই নেয়-
নিষ্ক্রিয় প্রাণশক্তির চতুর্দশী আলো!
- মোহমুক্তির বাঁকে রূপান্তরের গল্প |


সন্দেহভাজনের হলফনামায় চক্ষুদান;  
   নগরনটীদের কাউকেই জানিনা!
    সত্যনামায় স্বাক্ষর দিতে গিয়ে-
বুকপকেট ছাড়ে একজোড়া কানপাশা,
        রঙচঙে নকল সীতা হার!
আহামরি গুরু আমার-
খানিকটা লজ্জা সেতো ঢাকতেই হয়!
আস্তিন গুটানো জামার জেব টানতেই
    -একঝলক আনাড়ি সূচীকর্ম;
রঙচটা রুমালে ওষ্ঠরঞ্জনীর দাগ!
লাল-খয়েরি সুতোয় বোনা
   - অপুষ্ট লেখা 'ভুলোনা আমায়' |


একগাল হেসে একপাল ঘৃণায়;
তিন তাল থুতু ছিটাই, নিজেরই গায়
- কষ্টে শেখা একি মোক্ষ নির্বাণ!
কিছুকিছু পাঠ,অকালেই চুকাতেই হয়
ঠুকে দিতে হয় দশইঞ্চি গজাল!
- দুষ্টু গরু, দুষ্ট গুরু, সৃষ্ট ভেজাল ||
____________
=© আগুন নদী ©=
.® আগষ্ট ২০২০ ®.


.