শেষ শ্রাবণে শাহবাগে দেখেছিলাম তারে,
ফুল প্লাবনে ভোরের আগে গাঁদাফুল সারে
একটু দুরে হুল্লোড় ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়ে
চোখ ঘুরিয়ে বারেক আমি তাকিয়েছি ফিরে;


বাছাই পর্ব বিকিকিনি হরেক ফুলের রকমারি
কুড়িয়ে পাওয়া অপেক্ষা চক্ষু নত নজরদারি,
সবুজ বাতি জ্বলছিল দ্রুত রাস্তা পারাপারে
আবছা স্মৃতি দুলছিল  উচ্ছলিত বারে বারে।


ছিন্ন বসন সেই মেয়েটি রয়ে গেলো অজানা,
শীততাপ ঘোলাটে কাঁচে দেখা যে মুখখানা
চাঁদ বদন ফুলকুড়ানির জীবনটা চাই জানা,
সে পথে তাই নানা ছলে বাড়াই আনাগোনা!


চৈত্র দাহ অল্প বাকী সময় তখন শেষ ফাগুন,
আকাশ ফাটা তপ্ত রৌদ্রে ঝরছিল আগুন!
এইতো মেয়ে পেয়েছি খুঁজে পান্থপথ মোড়
তাজা বেলি শুকনো বকুল মালা নিয়ে দৌড়


এই ছয়মাসে শীর্ণ খুকি চোখের নীচে কালি,
সেই ফ্রক রোদে পোড়া বাড়ছে শোভা তালি!
জগত জোড়া উঁচু নীচু রাজা প্রজা মালী,
ফুলের মত ফুল কন্যা বেচবে ফুলের ডালি ?


মর্মাহত ভগ্ন হৃদয় দেখেই যাব ভুল হেয়ালী!
অক্ষমতা অপাংক্তেয় নিজেকেই দিই গালি,
এখন ফুল কিনি না, যত্নে জমা করি মুদ্রা ও নোট;
ফুল শিশুর কন্যাপণ দিয়ে শুকাই হৃদয়ের চোট।