পূজারী ভুলে দেবতা হাসে ঐ আড়ালে,
প্রভুর হাসি সৃষ্টিসুখে ধর্মকর্ম বাড়ালে;
হাসিমুখে ভিখারি ও তুষ্ট নিরন্ন তাড়ালে!
চাঁদের হাসি বিষন্ন তমসা জোছনা হারালে।


হাসিতে প্রিয় মুখে শুভ্র মুক্তো ঝরে পড়ে,
হাসিমাখা ওষ্ঠ চুমে উষ্ণ আদর থরে থরে;
সম্মতির ক্ষীণ হাসি ঠোঁটের কোণে ঝুলে
দুর্মতির গহীন হাসি শঠতার কূটকৌশলে!


অবজ্ঞার জটিল হাসি তুচ্ছ  তাচ্ছিল্যতায়,
নাবালক চটুল হাসি নিছক বালখিল্য সায়;
অবুঝ বোকাটে হাসি কিছুই মর্ম না বুঝে!
সলাজ রমণীয় হাসি রহস্যময় গভীর খুঁজে।


উল্লাসে হাসি ফোটে বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারে,
উচ্ছাসে হাসির ঘোড়া ছুটে বিনা সওয়ারে;
সন্তানের কৃতিত্বে তৃপ্তির মাতাপিতার হাসি
অভক্তি অতৃপ্তিকর হাসিতেই বেদনা রাশি।


হাসি নিঃসংকোচ নিখরচা ভাবের বিনিময়
হাসিমুখে সহজ প্রকাশ মধুর ভাবের বিনয়
বিরাজমান হাসি সাহস সততার ভারে জয়,
হাসিতে প্রফুল্লহৃদয় ভয় ভীরুতা সারে ক্ষয়।


এসো সবাই মিলে হাসি ভেদাভেদ যাই ভুলে
বৈষম্য দেয়ালের প্রভেদ হাসিতে দিই খুলে,
প্রয়োজনে ভাসা হাসি প্রাণতরী পালতোলা
অপ্রয়োজন দূরে রাখি নকল হাসির দোলা।