আমার রাত্রি ফুরালো, নিভে আসা প্রদীপ;
তোমার মাত্র গোধূলি, জোয়ার ভাসা দ্বীপ;
একটু পরেই সাঁঝবাতি উঠবে জ্বলে দীপ
বাঁশপাতা আঁকা রুপালি শাড়ি সঙ্গে লাল টিপ।


ঘরে ফেরা পাখিদের নেই আর বাকি,
সঙ্গী হারা পরিযায়ী পথভোলা যায় ডাকি;
একটু পরেই হয়তো তোমার শাস্ত্রীয় রেওয়াজ,
পাহাড় জুড়ে নামবে ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ!


উঠানে এসে একাদশী চাঁদ বলবে মৃদু হেসে,
জোছনা সুবাস চুপিচুপি যাবে ভালবেসে;
কামিনীর যামিনী গন্ধ বাতাসে এখন ভাসে
কাঁঠালিচাঁপা গাছ তেমনিই জানালা পাশে।


বিরহ ভুলতে করবী বেলি হয়েছে আত্মভোলা!
জোনাকি শোভা দেখতে বাতায়ন রেখেছ খোলা!
বেখেয়ালি দখিন হাওয়া উড়িয়ে দিবে আঁচল,
কোলাহলে আমার শহর একটু পরেই হবে সচল।


খাঁখাঁ জীবন, হাহাকার ভরে ডাকবে এখন আমায়;
নিদ্রাবেশে শ্রান্তির শান্তি, স্বস্তি কিছু দিক তোমায়।
সুন্দরতম থাকুক যত্নে,তোমার সুখের রঙ্গিন স্বপন;
সুদূর রই আলাপন নেই তবুও দুজন দুজনার আপন।
.................