অমাবস্যা কাল রাতে, কৃষ্ণ পক্ষ ঘোর আঁধারে;
গাব গাছের ভূত নামে, দখিন ধারে ঝাড় বাদাড়ে,
শেওড়া গাছের পেত্নী এসে ঘাড় দিবে মটকে!
তালগাছের মামদো ভূত, ভেলকি দেখিয়ে সটকে।


আত্মঘাতে মৃত আত্মা, ঝুলছে গাছের তেঁতুল;
অপঘাতে মরেছে যারা, হয়েছে ভূতের মাতুল!
ছমেদ খাঁ, মন্তাজের বাপ, রাখাল রঞ্জিত, রাতুল;
ও পাড়ার পরেশ, হেমা, সীমা, শ্যামা, সীতা, অতুল।


মা বাবার শাসন, প্রতিবেশী বারণ, ওমুখো নয় আর!
পুরনো জমিদার বাড়ি, তখন জঙ্গলময় চারিধার।
দিনে দিনে এখন হয়েছি বড়, সংসার সমাজ পুরস্কার;
ভগ্নপ্রাসাদ ছেড়ে বড় দালান, জঙ্গল আজ পরিষ্কার।


সুযোগে ছুটে আসি বারবার, অন্ধ মোহ মাটির ঘ্রাণে;
গাছ, ফুল, পাখি, নদী, সুন্দর সজ্জিত গ্রাম মনে প্রাণে;
সাহসে এখন দর্পিত হৃদয়, ত্রস্ত ব্যস্ত সমস্ত রাত দিন;
ছোট্ট বেলার ভয় জাগানিয়া স্পর্শ পাইনা কত দিন।


ভূতপ্রেত আশ্রয়দাতা গাছগাছালি এখনো ভালবাসি,
প্রতীক্ষায় থাকি, কখনো শুনি যদি তাহাদের কোন হাসি!
শেওড়া গাছতলায় বসে থাকি, অমাবস্যায় কৃষ্ণ রাত;
ভয়হীন আমার বসত ভিটা, পতিত স্বীয় জমি জিরাত।
...............................******.........................