না, না, চাইনা প্রিয়ে, আমার গলে মালা!
ছুঁয়ো না, ভাঙ্গবে স্বপন, সোনায় মোড়া বালা
ভাঙ্গা চালা, শূন্য থালা, হৃদয় পোড়া জ্বলা!
উদাসী অমন হয়োনা গো, বাড়িয়ে মনের জ্বালা।


তপ্ত অন্তর খাঁখাঁ প্রান্তর, ব্যবধান বিশাল
সুপ্ত রিপুর গুপ্ত গুহায়, জ্বালিয়ো না মশাল!
এই যেটুকু ছুঁয়ে গেলে আমায় করে গরবী,
গরবিনী তোমার সুরে, গাইবো আমি পূরবী।


প্রীতির বেশি স্মৃতি হয়ে, রইবে তুমি বেঁচে;
ভাববো আমি, এমনি এই পথ বেঁকে গেছে!
চলতি পথের ভুলের দৃষ্টি, যায় যদি ও বেঁকে;
আনমনা চঞ্চলা, নিরুৎসাহ চিহ্ন দিও এঁকে।


রূপবতী তুলনাহীনা, আমার সাথে অমিল তুলনা;
নির্গুণ আমার ভেতর বাহির, বুঝেনা কি ছলনা!
সত্যি বলতে নেই মানা, মাল্য আমায় নাহি সাজে;
শঙ্কাপূর্ণ হৃদয় ছেঁড়া, সেই তারে কি সুর বাজে!


বকুল মালা ছিঁড়ে ফেলো, তোমার শোভা কণ্ঠহার;
মনিহারী পণ্য ভিড়ে, বাড়ুক প্রভা  রূপ মণিহার;
প্রিয় সখী, জড়িয়ে বাঁধন থাকো সুখের প্রাসাদে!
আর কিছুদিন কাটাই আমি, কুঁড়েঘরের বিষাদে।
___________________________♦♦♦