অতঃপর সূর্য ভ্রমণ শেষে
আমি এক নিতান্ত যোগী বেশে
মাটির ঘরে ফিরে এলাম অবশেষে,
কঠিন আঁধার প্রাণে সূর্য রয় হেসে


সাদা বক বা পরিযায়ী সারস ঠোঁটে,
রুপোলী পুঁটিমাছ যন্ত্রণাকর চোটে
কুচ কালো পানকৌড়ি পালক চিহ্ন
চিকচিক বালি, নদীতট দৃশ্যপট ভিন্ন।


ফণীমনসা কাঁটার সূক্ষ্ম অগ্রভাগে,
সূর্য নতুনরূপে আমার বোধে জাগে
চির উদার উপহার অমূল্য অমলিন
নিজেরে নানা রূপে করে বিলীন!


নব প্রাতে শুভ সাজে নিত্যনতুন
পূর্ব পশ্চিম পানে জাগ্রত মিথুন,
কে কবে রাখে খোঁজ ভ্রুক্ষেপ দৃষ্টি
প্রসার বা সংকোচ তাপ সিক্ত বৃষ্টি।


ধরাতলে মানুষরূপী যত অনাসৃষ্টি
সুশৃঙ্খল সূর্য রত, মানে স্বীয়  কৃষ্টি
স্পর্শ অসম্ভব তবুও হোক দৃষ্টিপাত
পাঠ করো সূর্য হতে প্রখর ধারাপাত।


মাটির ধূলায় বসে মাটির দেহ,
না পুড়েও হও খাঁটি, স্রষ্টার অনুলেহ।