বিশ্বায়নের বেশ কিছু গল্প;
খুব ভেবেচিন্তে সাজিয়ে দিয়েছিলাম!
তাল তাল জমাট মাংসপিণ্ড চূর্ণ করে;
শীতল রক্তের সাগর কিংবা নদীতে,
আশ্চর্য স্রোত বইয়ে দেয়া -
'সংকীর্ণ সময়ের বিস্তীর্ণ রূপকল্প'।
'রূপকার' শুধু ইতিহাসে আশ্রয় চায়;
তাই 'কিয়োটো' পুরষ্কার মনোনয়ন,
'বুকার' 'পুলিৎজার কিছুই চাইনি!
অবিমৃশ্যতার মূলোৎপাটন সহ,
অল্পস্বল্প অবিমিশ্র শান্তির ঠিকানা
- অনেকটা নিশ্চিত হতে পারতো |


উদারবাদী গণতন্ত্রের সাদা খামে;
ছাপ দেওয়া স্বাক্ষর থাকলেও
ফিরতি পত্র খুলতেই হতবাক!
স্বীকৃতি বদলে বিক্রীত নাম লেখা,
আকৃতি ছেঁটে ফিরিস্তি সংকীর্তন
- মতিগতি ঘুরে ডান থেকে বামে।
আমার সাথে বাস করা 'চার্বাক'দল
অতি সাম্প্রদায়িক মড়কগ্রস্ত যারা,
    সংকীর্ণতার শিরোমণি বটে!
ধর্মনিরপেক্ষতার উত্তরীয় জড়াতে,
মোড়ক শিরোনাম কর্তন না করে
  - ওরা নাহয় আমাকেই ছাড়তো |


কাক ভিড়ে দু'একটা কোকিলকণ্ঠ;
গোল টেবিলের বিশ্বনেতাগণ কেউ,
বারবার আমার অনুমতি চাইলেও!
একনায়কতন্ত্রী নৃশংস কিছু ধারক -
তাদের চেলাচামুণ্ডা পত্নী উপপত্নী,
পুত্রকন্যা পৌত্র প্রপৌত্র দৌহিত্রদল
    - সমস্বরে চিত্কার করে উঠে।
প্রকাশিত হবার আগপর্যন্ত;
লিখিত নিবন্ধের স্বত্ব কোথায়?
উপস্থাপনের দোষেও ভোল পাল্টে।
লাশঘরের লোকেরা 'ডোম' নিশ্চয়ই,  
  ব্যবচ্ছিন্ন করে ক্ষান্ত থাকেনি!
তল্পি বহনের লজ্জা ঢাকতে গিয়ে,  
বিকল্প গহনার শতছিন্ন স্মারক!
এরচে ভালো হতো বিনা রক্তপাত
  - আমাকেও গলা টিপে মারতো ||


_______________
© আগুন নদী © ২০২২
ক্রোনবার্গ ক্যাসেল,কোপেনহেগেন।