জন্মাবধি তোমার সাথে ছিল আত্মীক বাঁধন
হেসেছি-কেঁদেছি তোমার বুকে, কষ্ট দিয়েছি মনে
শত বিরক্তি ভুলে গিয়ে তুমি
নিয়েছিলে বুকে তুলে।


আর আমি; কিছুই করতে পারিনি তোমার জন্যে।
আমার এই অক্ষমতা, সীমাবদ্ধতা কি তুমি বুঝতে?
তবে কি আমার অক্ষমতাকে ক্ষমা করবে না বাবা?
কারণে-অকারণে অভিমান করেছি তোমার সাথে;
চেয়েছি, যা কিছু ভালো তার আলোয় ভরে থাক তোমার জীবন।
আমার এই ভাবনা না বুঝেই হয়তো কপট রাগ দেখাতে তুমি।
সকলকে ভুলে অসীম বিশ্বাসে ভালোবেসে ফেললে একসময়,
দুঃখ-সুখের কথা হতো খণ্ড খণ্ড ভাবে।
একসময়, পরিকল্পনা-ভাবনা সব জমা রাখলে আমার কাছে;
আর আমি যক্ষের ধনের মতো আগলে রাখতে চেষ্টা করলাম।
যখন তোমার দেখা স্বপ্ন ধাপে ধাপে পূর্ণতার দিকে -
ঐতিহ্যগতভাবে অপার্থিব জগতের ডাক এলো তোমার।
শূন্য-দৃষ্টিতে আমাদের মাঝে বিরাজ করতে তুমি।
তোমার দু’চোখে ছিল অজানা জগতের হাতছানি।
সব বাঁধন ছিন্ন করতে হবে বলে, আমাদের সাথে কথা বলতে কম;
জীবন নিয়ে উৎসাহ আর দেখা যেতনা তেমন।
আমি বুঝেছিলাম তোমাকে আর ফেরানো সম্ভব নয়!
সংসারের উত্তাল সমুদ্রে উদভ্রান্তের মতো তোমাকে খুঁজি,
দিক-ভ্রান্ত নাবিকের মতো কিছুই খুঁজে পাই না!
অখণ্ড অবসরের মাঝেও তোমাকে স্মরণ করে -
তোমার মাগফেরাতের জন্য একটুখানি সময় হয়ে ওঠে না আমাদের!
অথচ আমাদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য,
কতনা জীবন সংগ্রাম আর সাধনা ছিল তোমার।
তবুও দৈনন্দিন রুটিন বাঁধা ছকের ব্যস্ততায়,
যখন তোমার সমাধির পাশ দিয়ে আসা যাওয়া করি;
অসহায় আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে শুধু একটুখানি দায়সারা মঙ্গল কামনা করি।


(মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম
তারিখঃ ০১ জানুয়ারী ২০১৩, খোলাহাটি)