আমার যে অশ্রু শুকাইয়া গেছে ,মা !
কখনো পাহাড় পরিমাণ দুঃখ এসে ,
কখনো তোমার সত্য আমায় আঘাত করে ,
তবুও যে আমার অশ্রু গড়ায় না ।


বৈশাখ জৈষ্ঠ্যের রৌদ্রের খরতাপে ,
তোমায় হারানো অসহ্য বেদনায় ,
তোমার শেষ যাত্রা শেষ শয়ন দর্শনে ,
সব দৃশ্যই আমার অশ্রুর হয়েছে অরণ্যরোদন ।


বুকফাটা ক্রন্দনে যখন আমার অশ্রু ,
কানায় কানায় ভরে উঠে ,
তখন অশ্রু নিজেই চাপা দেই ,
আর বলে : মা ; মা সে তো সত্যের বাঁধনে বাধা ।


আমি যে মা ;সব কিছুই সয়তে পারি ,
তোমার হারানোকে আমি সয়তে পারি না ,
এক মুহূর্তের জন্য যখন আড়াল হও ,
সেই ক্ষণিকের আড়ালকে আমি মানতে পারি না !


এবার বলো !
কেমনে সত্যের জোরে ,
তুমি চলে গেলে ?
আমার মূল্য যে ,তুমি বুঝিলে না মা !
রেখে গেলে একাকী আমার এই ভুবন !