মৃন্ময়ী চলো প্রসারিত হই বারান্দার দুকূলে।
শীতের জোছনা ছুঁয়ে নির্মাণ করি কালজয়ী উপাখ্যান।
শব্দের প্রাচুর্যে গড়ে তুলি কবিতার বসবাস।
আমার আর জড়তা ভালো লাগে না,
সকালের আলতো রোদে ভীষণ কবিশূন্যতায় ভুগি।
পত্রিকার শিরোনামে চোখ বুলিয়ে
রাষ্ট্রীয় অবসাদে মাত্রা বাড়াই।
যাপিত ক্লান্তিতে-
কেনো জানি পথিক হতে ইচ্ছে কোরে।
উদ্দেশ্যহীন পথিক!
য্যানো
খুচরো সময়ের ভীড়ে পালিয়ে যাই পৃথিবীর ভিড় ঠেলে।
পাহাড়ের বিশালতায় বসে আকাশ দেখা শেষে-
তৃপ্তি নিয়ে লিখি দুঃখ লোকাবার বিভিন্ন কৌশল।
মৃন্ময়ী কখনো আকাশ দেখেছো!?
বিষাদের আকাশ?
দুঃখগুলো কেমন মেঘ হয়ে উড়ে বেঁচে থাকার অভিপ্রায়ে!?
আমারো খুব ইচ্ছে কোরে কানামাছি খেলার।
ভয়ও পাই যদি দান পালটে ছুঁয়ে ফ্যালি অপরিচিত আঙুল।
এই যে দ্যাখো
সময় অনর্থক পালিয়ে যাচ্ছে বয়সের গণ্ডি পেরিয়ে,
ওইখানে অন্ধকার নামছে...
উদগ্রীব হয়ে পথ-ঘাট ভুলে যাচ্ছে আলেকজান্দ্রিয়ার অস্তিত্ব!
মিথ্যে হাফ-ছুটিতে আমরা এমনিতেই ক্লান্ত হবো।
এমনিতেই ঝড়ে যাবো চৈত্রের কোনো দুপুরে।
এতো আয়োজনের কী দরকার!?