পারমিতা, তোমাকে নিয়ে কিছু লিখবো ভেবেছিলাম।
কিন্তু সময়ের সূচিতে তোমার কোনো অনুদান নেই।
ইটের স্তূপে চাপা পড়ে আছি, শহরের কোলাহলে।
গতি থেমে গ্যাছে; কোথাও শান্তি নেই; চারিদিকে অসুখের হাওয়া বইছে।
স্পন্দনহীন ঘড়ির কাটায়-
সময়ের মন নেই আমাতে।
সেদিন কুসুমবাগে তুচ্ছ বিষয় কেন্দ্র কোরে তিন মিনিটের সমাবেশ শেষে
একুশ মিনিট আন্দোলন চালিয়েছি।
কেউ বলছিলো, আমি পাগল।
আবার কেউ বলছিলো কাঙাল।
ঠিক খেলা শেষে মানুষ যেভাবে সমালোচনা কোরে।
হাতে ঘড়ি নেই, মুঠোফোন তো দূরে।
অথচ সময়ের প্রতি কী শ্রদ্ধা!
এই নিয়ে হাসাহাসি শেষ হলো-
আমিও তেমন কান দেই নি,
যেহেতু
পয়সার অভাবে আমার কোনো হাতঘড়ি নেই।
নেই কোনো নিজস্ব সময়।
শুধু পড়ে রয়েছি রাষ্ট্রের অবক্ষয় নিয়ে।
ইশ,
বাহাত্তরের সংবিধানে যদি কবিদের জন্য কোনো রুলস থাকতো।
তবে আজ অস্ত্র হিশেবে ব্যবহার করতাম।
যদিও তর্ক জুড়ে বিভ্রান্ত করা তখন আবশ্যক ছিলো না।
পাশে একঝাক সাঁদা পায়রা উড়ছিলো
আপাত দৃষ্টিতে সবগুলো সুন্দর
কিন্তু
কারোর ডানা নেই, কারোর নেই পালক,
কারোর এক চোখ অন্ধ তো কারোর এক পাঁ বন্ধ।
যেভাবে মানুষের শব নিতর হয়ে আকাশে ঊড়ার স্বপ্ন দ্যাখে।
তার থেকে ভিন্ন নয়।
পারমিতা প্রসঙ্গহীন অনেক কিছু বলে ফ্যাললাম,
কথা ছিলো তোমাকে নিয়ে কিছু লিখবো।
কিন্তু সে সময় কোথায়?
যেখানে আমার রয়েছে ব্যক্তিগত বিষাদসিন্ধু;
কবিতার কবলে পড়ে ভেঙ্গে গ্যাছে পেন্ডুলাম;


এখনো ভাবি
সংশোধনী সংবিধানে যদি কবিতা লিখার সুনির্দিষ্ট নিয়ম ছাপা হয়।
তবে হয়তো এতো বিভোর হয়ে কবিতা লিখবো না কিংবা
সময় হত্যা কোরে সাজাবো না অসুখের পাণ্ডুলিপি।


পারমিতা আজকাল নেশাগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছি।
বিশেষ কোরে শীতের প্রারম্ভে,
অর্ধ-পূর্ণিমার রাতে যে হিম প্রবাহিত হয়।
তাতে মাতাল হওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনো উপায় নেই।
যদিও এইসব জনপদে পানশালার অভাব।
এবং পেয়ালায়
সাময়িক ভুবন ত্যাগের উপাদান অমিশ্রিত।