রুদ্র,
একদিন আমাদের দুপুর এভাবে গড়াবে না!
স্মৃতির ক্যানভাসে আহত হয়ে পড়ে থাকবে
একগুচ্ছ রক্তজবা!
কলেজ রোডে বসন্ত হুমরি খাবে
আমাদের না ফেরা দ্যাখে!
প্রহরগুলো বিবর্ণ নুয়ে যাবে পথের শেষে!
রুদ্র, সময় কেনো এভাবে দূরে ঠেলে দ্যায়?
কেনো অভ্যস্ত হতে শেখায় পরস্পরের হাসিতে?
আর কেনো আবার টেনে নেয় শিকড়ে?
আজকের কথা আমি ভাবছি না রুদ্র,
আমি ভাবছি, একদিন আঙুলগুলো দূরত্বের পরিমাণ বুঝে কেঁপে উঠবে না তো?
সেদিন যখন-
কুয়াশার মিছিলে নিঃসঙ্গ তুমিহীনতায় এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম কোরেছি।
সেদিন বুঝেছি, তুমি অনেকটা গেড়ে বসেছো বা'পাশটায়।
আমাদের দ্বিতল দালানের ছাদে বসে
মাঝেমাঝে আকাশ দ্যাখি।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও চেঁয়ে থাকি!
যদি কিছুটা নীল বিকিয়ে দিতে পারি আকাশের ভাঁজে।
তথাকথিত
এই ফাল্গুন মাস-
নক্ষত্রের মেলা থেকে তুমি ছুড়ি কিনে আনলে
আর আমি
বাসন্তি রঙের একটা শাড়ি পড়ে বিচ্ছেদের প্রার্থনায় ঝুঁকে গ্যাছি।
অথবা সহজ কোনো মানচিত্র বেঁয়ে রোদে গা এলিয়ে দিয়েছি।
বিকেল হয়ে এসেছে-
উঠোনো তেতুল গাছের ছাঁয়া;
সন্ধ্যে অবশ হয়ে এলো-
দেয়ালে উঁকি দিয়েছে আশাতীত চোখ
অথচ
কোথাও তুমি নেই!!


_________উৎসর্গ: ডালিয়া ইসলাম'কে