সখা ত্বমেব( বিশ্ব নারী দিবসের শ্রধাঞ্জলি)
...............অহনা


যজ্ঞানলে জন্ম আমার  
নাম যাজ্ঞসেনী,
পাঞ্চাল রাজকন্যা আমি
ধ্রুপদ নন্দিনী।


বহু আকাঙ্খিতা নারী আমি
যদিও কৃষ্ণা,
যথাসময়ে করিলেন পিতা
সয়ম্বর রচনা।


সেই বীর এ পরাবো মালা
যিনি বাঁধিবেন গুণ,
নির্ভুল লক্ষে ব্রাহ্মন বেশে
তাহা সাধিলেন অর্জুন!


বীরবেশী কর্ণে রে করি
হেলায় প্রত্যাখান,
রাজকন্যা দ্রৌপদী আমি
কেমনে সূতপুত্রে করি
বরমাল্য দান!!


যথাসময়ে পঞ্চপাণ্ডব সাথে
যাত্রা শ্বশুর ঘর,
করিব বর্ণন সেথা কি
হইল অতঃপর।


মাতা কুন্তীরে ডাকি কন
জ্যেষ্ঠ পাণ্ডব,
"কি আনিয়াছি দেখো মাতা,
বাহিরে আসহ সত্বর"!


মাতা কন না দেখিয়াই
"যাহা আনিয়াছ তাহা
পঞ্চ ভ্রাতা মিলিয়া লও"
সে দিনই জানিলাম প্রথম
'তুমি তো নারী যোজনগন্ধা,
তুমি তো মানুষ নও'!


পঞ্চবীর ভার্যা আমি
পঞ্চবীর ভোগ্যা,
সেই নারী আমি কিনা
পাশার পণ যোগ্যা!!


পাশায় হারিয়া ধর্মপুত্র
রাখেন আমায় পণ,
নতনেত্রে বসিয়া দেখেন
বাকি চার স্বামীগণ।


কুরু সভায় আনিলেন কৌরব,
করি কেশ আকর্ষণ,
অট্টহাস্যে নগ্ন উরু
দেখান দুর্যোধন !!


অবশেষে একবস্ত্রে সবে মারিলেন টান
রজঃস্বলা অবলা নারী আমি
ভরা কুরু সভায় স্মরি
হা কৃষ্ণ হা কৃষ্ণ নাম......


স্বামী নন,ভ্রাতা নন,পুত্র নন, চিরসখা মোর ,
কাম- লোভ-স্বার্থহীন যেথা চিরবন্ধন ডোর;
দাঁড়ান সবার অগোচরে আসি
সে ক্রূর সভায়, করেন মোর
লজ্জা নিবারণ!


কহিলাম মনে আমি
"চিরসখা মোর, কভু ছেড়োনা আমায়,
প্রতিটি নারী জীবনে থেকো তুমি
হয়ে গো সহায়।"


হা অদৃষ্ট,
পঞ্চস্বামীর ভার্যা করিলেন
হে মহাভারত,
পঞ্চনাথ বতী হয়েও  
আমি অনাথবৎ।।