ছোট্ট মেয়ে পড়ার মাঝে
উঠছে নেয়ে ঘেমে
কি যেন কথা বলতে গিয়ে
হঠাৎই যায় থেমে।


রেগে মেগে মা ঠাস করে দেন
কষিয়ে একটা চড়
বলেন তোর আর পড়ে কাজ নেই
কিচ্ছু হবে না তোর।
এমন যদি মনোযোগ থাকে
প্রতিদিন তোর পড়ায়
অ্যানুয়াল এর মার্কস টা দেখিস
কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।"


করুন মুখে আবার শুরু
আবার আরেক বই
মনে মনে বাবা ভাবতে থাকেন
কিছু হয়েছেই নিশ্চয়ই।


অমন মিষ্টি টুকটুকে মেয়ে
কি করে যে পাল্টায়!
মা বুঝিয়ে বলে ও কিছু নয়
ওদের মন বোঝাটাই দায়"
মুখে যাই বলুক মায়ের মনেও
একই কথা ভাবায়।  


এমন চলে বেশ কটা মাস
মেয়েটা বদলে যায়,
স্কুলের কথা বললে পরেই
কেন যেন ঘাবড়ায়!


একদিন রাতে হঠাৎই  ঘুমের ঘোড়ে
বাবার হাত টা গিয়ে পরে মেয়ের
বুকের ওপরে, চিৎকার করে ডুকরে ওঠে
অতটুকু ছোট মেয়ে, বলে " ছেড়ে দাও,
ছাড়তো আমায়, বলে দেব মাকে গিয়ে।"


বাকরুদ্ধ মা বাবাও বোঝে
হয়েছে সর্বনাশ, তবু জানতেই হবে কি হয়েছে
মেয়ের সাথে গত দুই তিন মাস!


ঘুম থেকে তুলে, টেনে নিয়ে নিয়ে কোলে
জিজ্ঞাসা করেন বাবা, কি হয়েছে রে তোর মা?
চিৎকার করে আধোঘুমে বলে, "আর কক্ষনো যাবনা।"
যাবোনা আমি স্কুলে  বাবা, গাড়ীতে, আর কক্ষনো না।"


সব বাচ্ছারা নেমে গেলে পরে
গাড়ীর দুজন কাকু,
আমায় যেন কিসব করে, বাবা আমি তো
ছোট্ট এতটুকু!
ভীষণ কষ্ট, ভীষণ লজ্জা ওরা প্রতিদিন দেয়,
বলতে পারিনি তোমাদের মাগো, শুধুই পেয়েছি ভয়।


তার থেকে ভাল আমাকে দাও একটা খোলা আকাশ ,
যেখানে কাকুরা থাকবে না আর, বুক ভরে নেব শ্বাস।
সেই আকাশেই আমি হবো বাবা,শরতের পেঁজা মেঘ,
তাওতো সুখেই থাকব আমি,
তোমরাও নিরুদ্বেগ।"