তোমার বিষাদগুলি তুলে নিতে দাও করতলে,
অন্তরঙ্গ ছোঁয়ায় ঢেলে দিই ওষ্ঠপুটে।
যেন নির্জন সন্ধ্যার বৃষ্টি
অশ্রু হয়ে ঝরে গভীর নিস্তব্ধতায়,
অপরাহ্নের রোদ্দুরে নিভু নিভু আলো,
নিঃশব্দ ঢেউয়ের গর্জনে—
তুমি একা বসে আছো,
স্মৃতির বালুকাবেলায়।

ভীষণ বৃষ্টির শব্দ বাজে হৃদয়ের গভীরে,
স্মৃতির পাতা ভিজে যায় তীব্র জলোচ্ছ্বাসে।
তুমি সেই বালুচরে,
কবেকার উইয়ে-খাওয়া ছবি হাতে,
অতীতের কুয়াশায় মোড়া একলা সত্তা।
তোমার চোখে জমে থাকা বিষণ্নতার জল
সমুদ্রের লবণাক্ত ঢেউয়ের মতো
বারবার ধুয়ে দেয় হৃদয়ের তটরেখা।

সেই যে একদিন,
নীলাভ সন্ধ্যার গোধূলি বেলায়,
আমরা হাতে হাত রেখে হেঁটেছিলাম,
আকাশের গহীন অস্পষ্টতায়
যেখানে রোদের সোনালি রেখা
জলের ওপরে সেতুর মতো ঝুলে ছিল।
আজও কি সেখানে রয়ে গেছে
আমাদের ছায়া,
আমাদের পায়ের চিহ্ন?

আজ শুধু বৃষ্টি নামে
নিঃসঙ্গতার ক্লান্ত দরজায়,
তুমি বসে থাকো একাকী
অতীতের শূন্যতায়।
আমি কেবল দূর থেকে শুনি
বিষাদগাঁথার শব্দ,
যেন ঢেউয়ের একঘেয়ে সুর,
যেন স্মৃতির নিঃশব্দ কান্না।

তোমার বিষাদ দাও আমাকে,
আমি তাকে গান বানাবো,
তোমার নিঃসঙ্গতা দাও,
আমি তাকে কবিতা গড়ব।
তুমি শুধু বসে থেকো
সেই পুরোনো বালুকাবেলায়,
আমি তোমার চোখের নোনাজল
আলতো হাতে তুলে নেব।