বাইরে হু হু ঝড়,
পাতাদের গায়ে শিহরণ তোলে,
জানালার কাচে আছড়ে পড়ে
বেপরোয়া বাতাসের দীর্ঘশ্বাস।
চারদিকে ধুলো, শূন্যতার নাচন,
একটি শুকনো ডালে বৃষ্টি চেয়ে
হাহাকার করে ওঠে
নির্জন কোনো পাখি।
কিন্তু তার চেয়ে বড় এক ঝড়
বুকের গহীনে জেগে আছে,
কৈশোর জুড়ে যে বৃষ্টি
কখনো থামেনি,
যে মেঘেরা জমেছে হৃদয়ের আকাশে,
তারা কি সহজে পথ দেবে আলোকে?
একবার যে নদী ডুবে গেছে গভীর জলে,
তার কিনারায় বসে কি কেউ
ফিরিয়ে আনতে পারে পুরোনো জলরেখা?
এই ঝড়ের শেষ কোথায়?
এই বৃষ্টির গন্তব্য কী?
তুমি কি শুনতে পাও?
নাকি শুধু বাইরে দমকা হাওয়ার
গর্জনেই হারিয়ে যাবে
আমার বুকের গোপন প্লাবন?
যদি একদিন আকাশের সব মেঘ সরে যায়,
তবু কি বুকের বৃষ্টি থামবে?
নাকি রোদের নিচেও
একটা নোনাজল বয়ে যাবে
অজানা কোনো পথের দিকে?