চুপচাপ হেঁটে যাওয়া এক কবি,
শব্দের শরীর ছুঁয়ে যে ছুঁয়েছিল দুঃখের নগ্নতা,
আলোর ভিতরেও ছিল তার এক গাঢ় অন্ধকার,
বুকের ভিতর শব্দহীন চিৎকার।
প্রিয় ছিল পাখি, নদী, ধানখেত,
তবু প্রিয়জনের চোখে শুধুই উপেক্ষা আর ক্লান্তি,
তাকে বুঝেছিল কি কেউ?
নাকি সবাই ব্যথাহীন সভ্যতারই প্রতিনিধিত্ব করেছিল?
তার কবিতায় ছিল এক অপার্থিব স্বর,
যেমন রাত্রির মাঝে মেঘে ঢাকা চাঁদের মতো!
ভালোবাসা চেয়েছিল, পেয়েছিল নিঃসঙ্গতা,
অপমানিত প্রেমে কেটেছে জীবনাবধি ব্যথার বারতা।
লিখেছে,
"আমি ক্লান্ত প্রাণ এক..."
কিন্তু কে শুনেছে সে শব্দের অস্ফুট আর্তনাদ?
সৃষ্টির মূর্ছনায় মিশে ছিল তার নিঃসঙ্গ হৃদয়,
যেখানে প্রতিটি শব্দ যেন ছিল এক একটি ক্ষতচিহ্ন।
তবু লিখেছে,
কারণ শব্দই ছিল তার শেষ আশ্রয়,
মানুষের ভিড়ে, শব্দের মাঝে
সে খুঁজেছে এক হারিয়ে যাওয়া নিজস্ব নীড়।
আজও যখন সূর্য ডোবে শহরের ফাঁকা রাস্তায়,
একটা পদচিহ্ন পড়ে থাকে,
জীবনানন্দ হেঁটে যান,
সেই চিরচেনা ক্লান্তি নিয়ে,
একটি কবিতার খসড়া হাতে,,,,