কেউ জানে না, ভেতরে ভেতরে কতটুকু ভাঙি প্রতিদিন,
যেমন নদী ভাঙে নিঃশব্দে, অথচ পাশের গাছটা বোঝে না তার হাহাকার।
চোখে জল আসে না, ঠোঁটেও কোনো শব্দ নেই,
তবু বুকের ভেতর একেকটা মুহূর্ত বিস্ফোরণ হয় বারবার।
আমি চিৎকার করি-- তবে তা বাতাসে ভেসে বেড়ায় না,
বরং জমে থাকে বরফের মতো গলা পর্যন্ত, নিশ্বাসে চাপা পড়ে যায়।
তোমার চোখের দিকে চেয়ে বলতে চাই, “আমি কষ্টে আছি,”
কিন্তু শব্দেরা ভয়ে লুকিয়ে পড়ে, মুখ শুধু থেমে যায়।
এই নিঃশব্দ চিৎকার অনেকটা পাথরের মত,
যা বাইরে শক্ত, কিন্তু ভেতরে ক্ষয়ে যায় বৃষ্টি পেলে।
হয়তো দেখেছো, ভোরবেলা শিশির ভেজা পাতার মত
আমারও মন ভেজে, নিঃশব্দে, কোনো কারো ছোঁয়া ছাড়াও।
কখনও কখনও মনে হয়,
যদি কেউ একটুখানি শুনতো, হৃদয়ের এই নিঃশব্দ আকুতি,
তবে হয়তো রাতটা এমন নিঃসঙ্গ হতো না,
হতো না প্রতিটি নীরবতা এতটা গাঢ় ও ভারী।
আসলে, কিছু কষ্টের কোনো ভাষা হয় না,
শুধু অনুভূতির মতো থেকে যায় পাশে,
আর আমি প্রতিদিন চুপচাপ থাকি,
একটা চিৎকার বুকের ভেতর নিয়ে,,, যে চিৎকার কেবল আমাকেই পুড়িয়ে যায়।