নিজের কাছে একদিন স্বীকার করতেই হবে,
আমি পথভ্রষ্ট এক ক্লান্ত পথিক,
সময়যাত্রার এক ভুলে যাওয়া গল্প,
দিগন্তের শেষে যেও না বলা শব্দের সঙ্গী।
শুরুতে পথ ছিল সুনীল সমুদ্র,
স্বপ্ন ছিল বাতাসে উড়ন্ত গাঙচিল,
আলো ছিল—সূর্যের দীপ্তি লেগে থাকা কাঁচ,
আর বিশ্বাস ছিল পাথরে আঁকা মন্ত্রের মতো।
কিন্তু একদিন পথ হারিয়ে গেল
এক অদৃশ্য মোহনায়,
দিগন্তের রেখা ছুঁতে গিয়ে বুঝলাম—
সে কেবল মরীচিকা!
এই শহরের ব্যস্ত পথের ভিড়ে,
নির্জন বিকেলের ক্লান্ত ফুটপাতে,
অচেনা এক কোলাহল আমাকে ঘিরে ধরে,
কিন্তু আমি তো চেয়েছিলাম—
শুধু একটুখানি শান্তি,
এক চিলতে নীল আকাশের গোধূলি আঁচল।
আজকাল মনে হয়,
সময়ের কাঁটাগুলোও বিভ্রান্ত,
এগিয়ে চলে, আবার থেমে যায়,
আমার মতো—
কখনো ছুটে যায় শূন্য অভিমুখে,
আবার কখনো দাঁড়িয়ে পড়ে
এক অনির্দিষ্ট মোড়ে, যেখানে পথেরও দিশা নেই।
আমি কি সন্ধ্যার এক বিস্মৃত দীপশিখা,
নাকি ঝরা পাতার মতো দিকহারা ব্যথার সুর?
একাকী রাতের তারারাও প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়,
"তুমি কি হারিয়েই যাবে? নাকি পথ খুঁজবে আবার?"
তবে কি এ-ই নিয়তি?
নাকি সময়ের কুহক ডেকেছিল আমায়?
আমি কি ফিরে যেতে পারি
সেই শিশিরভেজা সকালে,
যেখানে রোদ উঠত নতুন প্রতিশ্রুতি হয়ে,
যেখানে স্বপ্নেরা পথ দেখাতো আশার আলোয়?
হয়তো একদিন খুঁজে পাবো উত্তর,
হয়তো একদিন পথ মিলবে নতুন সূর্যোদয়ের সাথে,
তবে আজ—
আমি শুধু এক পথহারা পথিক,
একটি অসমাপ্ত গল্পের নাম।