সব শব্দ ফুরিয়েছে আজ।
শেষ পাতাটির নিচে আর কোনো পঙ্‌ক্তি নেই,
শুধু এক নিঃশব্দ বিরতি—
যেমন চিঠির শেষে ফেলে আসা স্তব্ধতা,
যেখানে আর কিছু বলার নেই,
তবু অনেক কিছু থেকে যায়।

আর নেই অপেক্ষা, নেই আর প্রতীক্ষার ছায়া,
নেই সেই চোখ— যাকে খুঁজেছি বহু কবিতায়।
আজ আর কোনো নাম উচ্চারণ করি না,
কারণ নামেরও একদিন অবসান ঘটে।

নিঃসঙ্গতা এখন আর কাঁটার মতো নয়,
বরং এক পুরনো শীতের জামার মতো—
যা গায়ে জড়িয়ে বুঝি,
এই তো অভ্যস্ত উষ্ণতা।

এ এক শেষ নীরবতা,
যা ব্যথা নয়, তবু ব্যথার স্মৃতি,
যা কাঁদায় না, তবু কান্নার শব্দ চেনে,
যা ভালোবাসা নয়, তবু ভালোবাসার ছায়া হয়ে থাকে।

আমি আর লিখি না,
শুধু পেন্সিলের ডগায় রেখে দিই আঙুল—
যেন শব্দ না লিখেও
সব বলেছি আজ।

জানালার বাইরে কেউ নেই—
তবু জানি, সেখানে কেউ একদিন ছিল।
আর ভেতরে?
ভেতরে এখন শুধুই আমি—
না খোঁজ করা, না পালানো আমি,
শুধু থাকা, নিঃশব্দে,
শেষ নীরবতার পাশে বসে থাকা আমি।