আদম (আ) সহ যত নবী শুধু নিজেকেই  
বাঁচাতে করে চলেন আকুতি ।
কিন্তু দীনের নবী (সা) সারাক্ষণই কেঁদে
বলে আমার উম্মতি উম্মতি ।
আগেকার সকল নবীগনের কথায় করত
যারা খুব সামান‍্যতম অমান‍্য ।
আসমান হতে কঠিন শাস্তি দিয়ে আল্লাহ্
তাদের নিপাতে করত না কার্পণ্য ।
অথচ আমাদের রহমাতুল্লিল আলামিনই
দোয়া চেয়ে তাও করেছিলেন বন্ধ ।
কতনা অকৃতজ্ঞ হলে মানুষ তা অস্বীকার
করে বলে মুসলমানেরা ধর্মান্ধ !
এর চেয়েও ঢের কম করেছে অন‍্যায় তবু
স্রষ্টা তাদের করেছিল ধ্বংস ।
এই বিশ্ব নবীর (সা) দোয়ার বরকতেই
তো আজও টিকে আছে মানব বংশ ।
আসমান হতে তেমন আর আসেনা আজাব
তাই বাড় বেড়েছে অপকর্ম অন‍্যায় ।
আল্লাহ্ চাইলেই পারে সবই নির্মূল করতে
তার সৃষ্ট দুর্যোগ দুর্গতির বন‍্যায় ।
শুধু নবীজির (সা) সন্মানে মানুষকে দিয়ে
রেখেছে শুধরে নেবার এই সুযোগ ।
কিন্তু অকৃতজ্ঞ মানুষেরা প্রতিদিনই দিগুন
উৎসাহে করছে অন‍্যায়ে মাত্রাযোগ ।
এমন নবীর উম্মত হতে চেয়েছিল বিখ‍্যাত
অনেক নবী রসূল ।
আমি তার সৌভাগ্যবান উম্মত হয়ে উদাস  
থেকে করতে পারি কি ভুল ?
আমাকে পুরো পৃথিবীর সম্পদরাজি দিয়ে
কভু কি আর যায় রে কেনা ?
আমি রসূল (সা) সেনা, আমার বীরত্ব সৌর্য
বীর্য দেখে কি যায়না চেনা ?
আমার রসূল (সা) যদি হয় এক চুল তোর
মতো বেইমান দ্বারা আক্রান্ত ।
আমি তৎক্ষণাৎ হবো অশান্ত উদ্ভ্রান্ত, তোর
মুণ্ডু নিপাত না করে হবোনা আমি ক্ষান্ত ।
তাই বলি আমি- শোন ওরে ভণ্ড বিপথগামী
সময় থাকতে হও হুঁশিয়ার সাবধান !
তুই সৃষ্টির সেরা নিকৃষ্ট হয়ে আমার রসূলের
(সা) দিকে ছুড়িস না একটিও বাক‍্যবান ।


উম্মতি > অনুসারী ।


রচনাকালঃ- রাত ১১:৫৬টা, মঙ্গলবার, ২৪ জৈষ্ঠ্য ১৪২৯, ৭ জুন ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।