আমরা তোমাদের কাছে কিছু করছি কি দাবী,
না বাধা দেই তোমাদের ঐ ধর্ম কর্ম পালনে ?
বরং তোমাদের ধর্মে বাধা না দেওয়াটাই তো
আমাদের ধর্ম, দেখোনি মোদের চাল চলনে ?

তোমরাই তোমাদের ধর্ম ও বিশ্বাসকে বরঞ্চ  
সার্বজনীনের নামে দিয়েছো চাপিয়ে সর্বত্রই ।
ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতিতেও কৌশলে ঢুকানো
বিশেষ নামগুলো হতে আমরাও যে মুক্ত নই !

দিন মাস গ্রহ নক্ষত্র সহ সব নামই রেখেছো
দেবদেবীর নামে যা আমরাও নিতে হই বাধ্য ।
অথচ স্রস্টার সাথে কারো অংশীদারত্ব করাই
যে মহাপাপ, মুসলমানদের যাতে নেই সাধ্য !

আমরা যারা মুসলমান এক আদমের সন্তান
এবং এক স্রস্টায় বিশ্বাসে করি তার ইবাদত ।
জবরদস্তি তো দূরের কথা কোন কূটকৌশল
প্রয়োগেও কারো উপর চাপাই না সেই মত ।

তবু কেন ভাই সদা সর্বদাই আমাদের সাথে
উঠছো মেতে ঝগড়া বিবাদ কিংবা হিংসায় ।
কেন আমাদের এই নির্মোহ ও ত্যাগের ধর্মে
বাধাদানে ভাসতে চাও শয়তানের শংসায় ?

স্রস্টা এক ও অদ্বিতীয় এই বিশ্বাস হতে কভুও
কোন কৌশলে মোদের সরিয়ে নিওনা দূরে ।
আমরা হলে সাচ্চা মুসলমান জগতে আনবো
কল্যাণ নয়তো তছনছ করবো সব ভেঙেচূড়ে ।

কোরআন ও হাদিসের কঠোর নির্দেশনা মতে
ইসলাম সকল সৃষ্টির জন্যই যে কল্যাণকামী ।
তাই নিজেরা একেশ্বরে অবিশ্বাসে বিপথগামী
হয়ে কেউ আমাদেরও কর নাগো বিপথগামী ।

কেউ তা কর না, আমাদেরও করাইও না ভাই
আর এই রকম ক্ষমার অযোগ্য দোষে দুষ্ট ।
অসীম দয়াময় স্রস্টাকে এতো ধৃষ্টতা দেখিয়ে
ওরে নির্বোধেরা তাকে কর না আর রুষ্ট ।।

রচনাকালঃ- বিকাল ৫:৫৪টা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১,
৮ মে ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।