( গতকাল বিকেলে আষাঢ়ের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে গিয়েছিলাম আমার নিবাস ঢাকা মিরপুরের পাশে তুরাগ নদীবিধৌত এলাকায় । ফিরে গিয়েছিলাম আমার সোনালী শৈশব ও কৈশোর বেলার নির্মল আনন্দময় আষাঢ় স্মৃতির দিনগুলিতে । আর আজ সকালে কবি দীনেশ পিটার রেগোর কবিতা "বর্ষাগম" পাঠে আপ্লূত হয়ে এই কবিতা তাকেই উৎসর্গ করলাম । )  


আমি যে গাঁয়ের চাষার ছেলে,  
বেপরোয়া হই আষাঢ় পেলে ।
কত শত স্মৃতি মোর আষাঢ়ে,  
এর চেয়ে কিছু নেই খাসা রে !


উদার মন বিকাশের সহায়তা
আষাঢ় কিশোরে করে যে তা !  


আহা ! আষাঢ় আষাঢ় আষাঢ়,
নিদর্শন প্রকৃতির ভালোবাসার ।
পেতে হলে যে কিছু দিতে হয়,
আষাঢ়ও সেটার ব্যতিক্রম নয় ।


যদি কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয় বন্যায়
ধরা অচল হবে ধরলে অন্যায় ।


আষাঢ় না এলে দুনিয়া অসাড়,
কে যোগাত এত প্রাণের খাবার ?
কোথায় হতো মানুষের আশ্রয় ?
আষাঢ়ই তো করে দিল সাশ্রয় !


আষাঢ়ের কেউ করি না বদনাম
আষাঢ় সবার প্রাণ সঞ্চারী নাম ।


রচনাকালঃ-১০.২৩টা, বুধবার, ৩১ আষাঢ় ১৪২৭,
২৩ জিলকদ ১৪৪১, ১৫ জুলাই ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।