শুধুমাত্র মুসলমানেরই দেখি যেন
বহুবিবাহের বহু বদনাম ।
তারাই নাকি নারীদের অধিকার
কাড়ে দেয় না তাদের দাম ।
এমন যারা বলে ওরা সব নয় কি  
জগতের সেরা মুর্খের দল ?
ওরা কি দেখেনা নারী সম্ভোগে
কারা বেশী করে ছল ?
শ্রী রামেরও মাতা ছিলেন চারজনা
শ্রী কৃষ্ণের স্ত্রী ষোল হাজার ।
তৎকালীন একাধিক স্ত্রী রাখার যে
প্রথাই ছিল যত ধনী ও রাজার ।
আজও যদি থাকতো ঐ প্রথা তবে
কি থাকতো কোন পতিতালয় ?
ভোগবাদীদের কুট কৌশলেই তো
নারী আজ পন‍্যে পরিনত হয় ।
গালফ্রেণ্ড বয়ফ্রেণ্ড লিভটুগেদার তো
করতে বিয়ে বর্হিভুত যৌনাচার ।
ওরা হোটেলে পার্কে এখানে ওখানে
তাই করে সস্তায় ব‍্যভিচার ।
পশ্চিমা জগত, শিল্পী আর আধুনিক
মনারা কি মাতেনি বহুবিবাহ খেলায় ?
ওরা যেন জামা জুতার মতোই তুচ্ছ
ছুতায় জীবন সঙ্গী বদলায় !
অসহায় করে সন্তানদের শুধু ওদের
নিজেদের খায়েশ মিটাতে ।
জাতপাত ধর্ম রীতিকে কচু দেখিয়ে
মত্ত যৌনসঙ্গী নিয়ে সময় কাটাতে ।
পরিশেষে বৃদ্ধ বয়সে ওরা তাই তো
করে নিঃসঙ্গ জীবন যাপন ।
শুধু জৈবিক তাড়নার ওদের সম্ভোগ
হয় কিন্তু কেউ হয়না আপন ।
ব‍্যভিচারে জন্মালেও সন্তানাদি ওদের
দোষী বলে হয়না ওয়ারেন্ট ।
বরং সংসদে গিয়ে করে দাবী দিতেই
হবে অনুমোদন সিঙ্গেল পেরেন্ট ।
শুধু জৈবিক সুখ সম্ভোগে আজ যতটা
বেড়েছে নারী নিগ্রহ ।
তবু ধর্ম মতো নারীদের সতীন নিয়ে
থাকতে যত অনাগ্রহ ।
কিন্তু নারী মুক্তি আন্দোলনের নেত্রীও
পর পুরুষকে করে লোভ ।
বিবাহিতকেও বিয়ে করবে, সতীন না
খেদালে তারও সে কি ক্ষোভ !
মানে সম্ভোগই ওদের মোদ্দা কথা তা
হোক না যত অমানবিক ।
পুরুষের চাইতে নারীর সংখ‍্যধিক‍্যের
সমাধানে তাই তো একটাই দিক ।
ধর্ম মেনে বহুবিবাহ এনে দেয় যে সুখ
সমৃদ্ধি ঐশ্বর্য প্রাচুর্য ।
নারীকে সুরক্ষা দিতে জনতার সম্পত্তি
না হতে তো বহুবিবাহই অনিবার্য ।


রচনাকালঃ- রাত ৯.১১টা, বৃহস্পতিবার, ১৫ আশ্বিন ১৪২৮, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ঠাকুরগাঁও ।