যেমনি দূর্ভাগ‍্যবশত পেয়েছিলাম বড় আজব
একটি মায়াভরা বেহায়া দিল ।
তেমনি বুকের মধ‍্যে থাকা নাগিনের অহর্নিশ
ছোবলে ছোবলে নিয়ত হচ্ছি নীল ।
অনাবিল সুখে অপরের বুকে সে তো আছেও
বেশ; মাঝখানে আমি কেন হচ্ছি নিঃশেষ ?
আশা আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন সাধ আজ সবি বরবাদ
নেই আর সেই বাঁচারও পরিবেশ ।
বেইজ্জতকারীরাই বেশী ইজ্জত পায় যেথায়
সেথায় বেইজ্জতি তো হবোই ইজ্জত দিতে ।
দুনিয়াটাই যখন স্বার্থে অন্ধ তাই কেউ কেন
যাবে কারো দুঃখটা কিনে নিতে ?
আমার বেহায়া দিল, সেটা বুঝেই না বলে
নিজেকে নিপাত করছি ছোবলে ছোবলে ।
অহর্নিশ বিষের জ্বালা সইতে না পেরে তাই
সহসা চাই যেন ঢলে পড়ি মৃত্যুর কোলে ।
কারণ কোন মানুষই বেঁচে থাকতে পারে না
আশা ছাড়া আর আমি তো সর্বহারা !
মানুষ তো চায় সবাই শুধু নিতে কিন্তু আমি
দিতে চেয়েও হয়েছিলাম পাগলপারা ।
তাও ব‍্যর্থ, তবে কি হবে এমন জীবন দ্বারা ?
কাউকে দিতে চাওয়াতেই কি এতো দোষ ?
বেহায়া দিলটা কিছুতে মানে না তা, কোন
ভাবেই তা করতেও চায়না আপোষ ।
পৃথিবীর কেউ আমাকে এ ব‍্যপারে বুঝাতে  
পারেনি আর পারবেও কোন দিনও ।
বেহায়া এই দিল তাই গুমরে গুমরে কেঁদে
মরবে সদা যদিও লাভ হবে না কোনও ।


রচনাকালঃ- রাত ১১:৫৭টা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪২৯, ১৩ অক্টোবর ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।