এই দুনিয়ায় দেখি তারাই সফল
দিয়ে যাচ্ছে যারা ধাপ্পা ।
আমি বুঝিনা তার হালচাল তাই
নিজেকে লাগে বেখাপ্পা ।
না আমার মতো হয় কেউ হেথা
না আমি হচ্ছি কারো মতো ।
যাদের জন‍্য যতই করছি উল্টো
দোষী যেন হচ্ছি তত ।
কিসের বিশ্বাসে কিসের আশ্বাসে
কেউ কাউকে দান করে দেহ ?
আমি কাউকে স্বর্গে নিতে কেঁদে
মরলেও আমায় করে সন্দেহ !
কেউ কাউকে বলে কয়ে খাইয়ে
দিলেও বিষ খায় মহানন্দে !
আমি দিতে গেলেও অমৃত সুধা
মুখ ভেংচি মারে অপছন্দে ।
যারা যত করে চলে কুকর্ম দেখি
তারাই হচ্ছে পুরস্কৃত !
আমি যত ভালো করতে যাই না
কেন তত হচ্ছি তিরস্কৃত !
চাটুকারী করে করে সবে বাগিয়ে
নিচ্ছে পদ পদবী অর্থ খ‍্যাতি ।
আর আমি তখন আড়ালে থাকছি
ঘেন্না করে অমন তেলেসমাতি ।
আমি কি এসেছি সময়ের আগে
নাকি এসেছি সময়ের পরে ?
এই প্রশ্ন সর্বদাই আমার ভাবনার
জগতকে এলোমেলো করে ।
হাসবো নাকি কাঁদবো আমি এই
আজব জীবনটাকে নিয়ে ।
সদুত্তর না পেয়েও নিজেকে রাখি
বাঁচিয়ে নানানটা প্রবোধ শুনিয়ে ।


রচনাকালঃ- রাত ১১:৩৮টা, শনিবার, ১১ আষাঢ় ১৪২৯, ২৫ জুন ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।