গৌরবগাঁথা ফ্লাইওভারের নীচে বেওয়ারিশ ছিন্নমূলের
গায়ে কাঁটা দিতে যেমনি এলো পৌষের কনকনে শীত ।
অভিজাতের বাহারি পোষাকের বাহাদুরি ও পিঠাপুলির
পার্বন উদযাপনে যেন তেমনই তা হয়েছে উপনীত ।
ইলেকট্রিক হিটারে উষ্ণ রুমে পরম সুখের ঘুমে থাকে
যখন ধনীর দুলাল অ্যাংগোরার উলেন কম্বল মুড়ে ।
তখন কোন অভাগিনীর জনম দুঃখী সন্তান হিমশীতল
মাটিতে শুয়ে চটের বস্তা গায়ে জড়িয়ে থাকে কুঁকড়ে ।
ধনবানদের ওদিকে তাকাবারও নেই সময় নতুবা মন
চাইলেও আছে আবার লোকের তিরস্কার করার ভয় ।
আহা ! ওদের জন্যে কাঁদবেই বা কার অন্তর আদতে
ওরা তো বেওয়ারিশ, ওরা নাকি কোন মানুষই নয় !  
ওদেরকে দান দয়া করে তোলাই যে যাবে না মাথায়,
পরে তৈরী হবে চেয়ে খাওয়ার সাংঘাতিক বদঅভ্যাস ।
ওদের উপদ্রব আর উৎপাতে তখন এই দেশে আমরা
মোটেও করতে পারবো নাকো সুখ শান্তিতে বসবাস !
ধনীদের এমনই আগাম সুখের ভাবনায় এই হতভাগ্য
ছিন্নমূলরা চরম মূল্য দেয় ওদের এদেশে জন্মানোয় ।
ওরা তো স্বেচ্ছায় ওভাবে জন্মায়নি, বেনিয়াদের নিষ্ঠুর
সিণ্ডিকেট অভাগীর ছিঁড়ে পেট ওদের এমন জন্ম হয় !
খলিফায়ে রাশেদীনের মতো শাসকেরা যদি না করে
শাসন কোন দেশ, তবে কি তথা বজায় থাকে সাম্য ?
শাসকের শোষক দোসরের যোগ বিয়োগেই জন্মে যে
ছিন্নমূল, তাই তাদেরই তো ওদের দেখভাল কাম্য !  
নয়তো ঐ ছিন্নমূল একদা ছিনিয়ে নেবে ওর অধিকার
কারো সাধ্য রবে না রুখে দাঁড়াবার কোনভাবে ।
তাই আজই কর এদের প্রতিকার একটি মানব সন্তান
যেন না থাকে কোথাও অন্নবস্ত্রের অভাবে ।