মহামারী ও খাদ্য সংকটকালে যখন ওষ্ঠাগত মানুষের প্রান
তখনও কি করবে তাদেরকে তোমার ধর্মের পথে আহ্বান ?
নাকি তাদেরকে আগে বাঁচাতে করবে তুমি অন্ন পথ্য দান ?
নাকি ধর্মের নামে তোমার দল্ভুক্তে করবে সুযোগ সন্ধান ?


যতটা ধার্মিক তুমি ভাবো নিজেকে নিয়ে, আসলে তা নয়  
আগে যদি বুভুক্ষ মানুষের দুঃখে তোমার না কাঁদে হৃদয়  
তবে ধর্ম তোমার রক্ষা বর্ম মিছে দাও সদা ধার্মিক পরিচয়
ধর্মের ধব্জজাধারী হয়ে তুমি করতে চাও স্বীয় ইচ্ছার জয় !  


কেউবা আবার প্রবৃত্তির দাসত্বেই আজীবন থাকছে ধর্মহীন  
ঝোপ বুঝে কোপ মারতে খুঁজে মহামারী বা দুর্ভিক্ষের দিন
এই নির্বোধেরা জানেই না প্রকৃতিতে তারা করল কত ঋন
সীলগালা ঐ হৃদয়বানরাও তাই এমন দিনে থাকে উদাসীন ।


তাই বলি হে সুহৃদগন এমন দুর্ভিক্ষদিনে বুভুক্ষদের বাঁচাও
নিজের খাবারটুকু ভাগ করে হলেও অর্ধেক তাদেরকে দাও
এমন সুযোগে পারো যদি হৃদয়ের জায়গাটা আরও বাড়াও
প্রকৃত সুখী হবার তরে এটাই সুযোগ, নাও হে লুফে নাও ।  

দান করলেই বাড়ে মান আত্মা হয় মহান প্রাশান্ত হয় প্রান
সম্পদও বাড়বে চিরসুখীও হবে যত পারি করি সবাই দান ।


রচনাকালঃ- সকাল- ০৭.২৮টা, বৃহস্পতিবার, ২৬ চৈত্র ১৪২৬,
১৫ শাবান ১৪৪১, ৯ এপ্রিল ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।