এই দেশটার সর্বত্রই অসঙ্গতি দেখে
নাকি মেধাবীরা হচ্ছে ​দেশত‍্যাগী ।
সেই সুযোগে ভন্ড আর গুণ্ডারাই সব
নেতৃত্ব দিয়ে হচ্ছে সুবিধাভোগী !
তাইতো সকল রাস্তাঘাট, বিদ‍্যাপীঠ
কিংবা অফিস আদালতে ।
একটি জায়গাও খুঁজে পাবো 'না যা
কি না চলে নিয়ম শৃঙ্খলাতে !
নিয়ম ভঙ্গ করাই যেন নিয়ম হেথায়
তাই নিয়ম নীতির নাই বালাই ।
নিয়ম মানা দেশের আগতরা ভীমরি
খেয়ে বলে জলদি পালাই পালাই...
শিক্ষক কি রক্ষক সবাই বনে ভক্ষক
গাছেরও খায় তলেরও কুড়ায় ।
দেশ প্রেমিক সুধীজনেরা সব চাপরায়
কপাল আর করে হায় হায় হায় হায় !
ধর্মব‍্যবসায়ী স্বঘোষিত কাণ্ডারি সেজে
স্বীয় ধর্মকেই করেছে ধরাসায়ী ।
পিতামাতা সন্তানের জীবন ধ্বংসকারী  
হয়েও কেউ হতে চায় দায়ী ।
তিল ধারনের ঠাঁই নাই তবু পরিবহন
মালিকের আরও চাই চাই ।
শিল্পপতিরা তো রাক্ষুসী দানব সেজে
গিলে খেতে উদ‍্যত পুরো দেশটাই !
নগরের ত্রিশ মিনিটের গাড়ী যাত্রায়
লাগে তিন ঘন্টারও বেশী ।
আবার নিরুপায় খেয়ে বেঁচেও আছি
যত্ত সব ভেজাল পঁচা বাসি ।
রোগী হলেও বিপদ ডাক্তার ডাকাতি
করে কেড়ে নেয় সহায় সম্বল !
বিনা দোষেই জেল খাটে সাধুজনও
ঘুষ ছাড়া যার জোটেনা কম্বল !
পুলিশ শুনেনা নালিশ দলীয় নির্দেশ
কিংবা মোটা অংকটা না পেলে ।
দোষ কর আর নাই কর ঘাড়টা ধরে
তারা নির্ঘাত পাঠিয়ে দেয় জেলে ।
ন‍্যায়বিচার এতো দূর্লভ সমাচার, যা
টাকা ছাড়া কারো ভাগ‍্যে মিলে !
প্রজাতন্ত্রের পৌষ‍্যরা হর্তাকর্তা সেজে
চড়াদামে বেচে সেবা, কঠোর দিলে !
বাজার মূল‍্য যে যার খুশিমতো দেয়
আকাশ ছোঁয়া বাড়িয়ে ।
সাধারণ জনতার ডালভাতেও বাঁচার
স্বপ্নটুকু বেড়ায় দুঃস্বপ্নে তাড়িয়ে ।
সেই জনতার পকেট কেটে সরকার
করে তাজমহল গড়ার বিলাসিতা ।
মানব সম্পদেরও নেই ব‍্যবহার দেশ
ব‍্যপী ছড়িয়েছে উচ্ছন্নতা মাদকতা ।
এতদসত্বেও ক্ষমতার অপব‍্যবহারের
জন‍্য মুখিয়ে আছে কত শালায় ।
তারপরও এই দেশটা কিভাবে চলে ?
চলে নাকি ? স্বয়ং আল্লাহই চালায়....


রচনাকালঃ- দুপুর১২.২৭টা, মঙ্গলবার, ২০ পৌষ ১৪২৮, ৪ জানুয়ারি ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।