কলেজ ভার্সিটিতে পড়ছো তাই গর্বে সিনা
টানটানে ফুঁকছো সিগারেটের ধোঁয়া ?
ভাবখানা তোমার কদিন বাদেই তো তুমি  
করবে রোজগার, এতো হাতের মোয়া !
কি ছাইপাশ পড়াশুনা করেই এতটা কেন
তুমি হয়ে আছো হে উচ্ছসিত ?
দেখো না দারিদ্রতা ধেয়ে আসছে সমুদ্রের
ঠিক সিডর জলোচ্ছাসের মতো ।
কোন মতে ডিগ্রীটা বাগিয়ে কারো কাছে
চেয়ে মাগিয়ে করবে তো চাকুরী ?
দ্রব‍্যমূল‍্য হু হু করে যে বেড়ে চলছে তাতে
খাবে কি কিনতেই তো পারবেনা লাকড়ি !
কি লবডঙ্কা ছাত্র ! সেজে আছো ফুল পাত্র,
পড়াশুনাটা শেষ না করে করবে না কাজ ।
কি কাজ তখন করবে তুমি তোমার জায়গা
দখল করছে যে সফটওয়্যার রোবটে আজ !
অবশেষে না হয় বেঁচবে বসে টং দোকানে
ঝালমুড়ি চা বিস্কুট পান সিগারেট ।
ইতিমধ্যে ওগুলোও দখল নিয়েছে সর্বগ্রাসী
পুঁজিবাদীদের বড় বড় কর্পোরেট !
তুমি সর্বোচ্চ সুদে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে চালানটা
খুইয়ে করবে কিস্তির সাথে কুস্তি ।
ওদিকে কর্পোরেট কালচারে নাম মাত্র সুদ
হারে সর্বোচ্চ মুনাফায় করবে মৌজ মাস্তি !
ওরা সব সম্পদ কুক্ষিগত করতে নেমেছে
ধনী হবার এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় ।
মন্ত্রী সান্ত্রী সব কিনে ভরেছে পকেটে ওরা,
তুমি কপাল চাপরিয়ে করবে হায় হায় !
তাই বলি ভায়া জন্মেছ যখন এই যামানায়
জীবন জীবিকায় নামো কিশোর বয়সেই ।
শ্রেষ্ঠ নবী মোহাম্মদকে (স.) দেখোনা কাজ
করে শিশুকাল হতে প্রতিষ্ঠিত পঁচিশেই ।
শুধু ডিগ্রী তোমার আহার জুটাবে না সম্মান
বয়ে আনবে না, না হলে কর্মে সফল ।
স্ব চেষ্টা স্ব অর্থায়ন স্ব পরিকল্পনায় গড়বে
সবে, তবে বাপের টাকায় হবে বিফল ।


রচনাকালঃ- রাত ১১:৫০টা, রবিবার, ২০ আষাঢ়
১৪২৯, ৩ জুলাই ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।