দিকে দিকে শুনি প্রলয়ের পদধ্বনি অশনী
সংকেত কালো মেঘে গুর গুর ঘনঘটা ।
অমানিশার অন্ধকারে নেমে আসছে ঝড়
সামলাও যানমাল ঘটি-বাটি-লোটা ।
অসুরের দল বেঁচে ফিরেও পেয়েছে বল
তারা নাকি সবে এখন শিকল ছাড়া ।
বইয়ে দিতে শোনিত ধারা শানিত করছে
কৃপান করছে জাতি ধ্বংসের পায়তারা ।
আত্মহারা আর থাকিস না ভোলা খোলা
রাখো চক্ষুদ্বয়, কর্ণদ্বয়ও রাখো খাড়া ।
তারা চালাতে চায় তাণ্ডব যেন পাঁচভাই
পাণ্ডব, রচিবে নাকি আরেকটি কারবালা ।
তবে ধ্বংসযজ্ঞ অনিবার্য ওরা করছে সময়
ধার্য, শুধু জানি না প্রথমে কার পালা ।
খুঁজিছে ওরা মিছে ছল প্রয়োগ করতে বল
সকল বিশ্বাসী এখনই হও একতাবদ্ধ ।
কোন লাভ হবেনা মোটে পড়েছ সংকটে
নিপাত করবে তোমার জ্ঞাতিগুষ্ঠি শুদ্ধ ।
মহানুভবতা ওদের মহাভনিতা হত‍্যালীলা
চালাতে যাদের হাত করে সদা নিশপিশ ।
তোমার বন্ধুরূপী জাতশত্রু ওরা তোমায়
মেরে অস্হি খুলি দিয়ে বানাবে শোপিস ।
মানব সৃষ্টির সূচনালগ্ন হতে এ ষড়যন্ত্রের
বাস্তবায়ন করার এসেছে চূড়ান্ত কাল ।
ছিঁড়ে সকল বেড়াজাল সব প্রস্তুতি সম্পন্ন
নাকি করেছে শয়তানের বরপুত্র দজ্জাল !
ঢাল তলোয়ার সমরাস্ত্র ধর্মশাস্ত্র সমেতই
তুমিও হও প্রস্তুত যেতে রণাঙ্গনে ।
তোমার সন্ধি সম্মতির তোয়াক্কা ছাড়া যে
উপনিত হবে ওরা তোমারই প্রাঙ্গনে !

রচনাকালঃ- রাত ১০.৫৪টা, বৃহস্পতিবার, ৬ ১৪২৮, ২০ জানুয়ারি ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।