সমাজের লোকেরা বলে তুমি নাকি দরদী মানব সেবী,
মহামঙ্গলা সুখ শান্তি সমৃদ্ধির অতুলনীয়া অনন্যা দেবী,
মম কুটীরে; ঠাই দিলাম তাই সাদরে, তুমি বিনা আর
কিছুই যে খুঁজিতে যাইনি....
তোমার ভোগ অর্চনায় আর যথাযোগ্য যজ্ঞ সাধনায়,
কত পুষ্প ঘৃত অমৃত নিত্য জুগয়েছি যে অনন্যোপায়,
পরিবার পরিজন নিয়ে থেকেছি অভুক্ত কত দিন যে
আমরা কোন কিছুই খাইনি !
এতোদিন শুধু তোমারে দিয়েই গেলাম দুহাত ভরে,
কোন কিছুই অবশিষ্ট রাখিনি গো নিজেদেরও তরে,
নিজ থেকেই দেবে ভেবে কোনদিনও তোমার কাছে
কোন কিছুই মুখ ফুটে চাইনি....
আর তো দেবার আমার নেই কিছু হটিতেও পারিনা পিছু,
একদা নিরুপায় অসহায় তোমার সামনে মাথা করে নিচু
বললাম মা, সবই তো শুধু দিয়েই গেলাম ! কিন্তু এখনো
তোমার কাছে কিছুই তো পাইনি !
একথা শুনা মাত্রই সুচাল দাঁত বের করে; তুমি এলে তেরে,
ভয়ে পালিয়ে বাঁচলাম আমি কিন্তু স্বজনের প্রাণ নিলে কেড়ে,
একি ! দেবী জ্ঞানে পুজা দিয়ে এলাম যারে এত দেখি এক
সর্বনাশা নিষ্ঠুর ডাইনি...!
একি করলাম আমি ! কখনও ক্ষমা করবে কি অন্তরযামী ?
কেন এত নির্বোধ লোভী আমি মূর্খতায় করলামও গোঁড়ামি !
মম গৃহে তুমিই হলে স্থায়ী নিবাসী, আমিই হলাম পরবাসী
না না নাহ ! এ আমি চাইনি, এ আমি চাইনি এ আমি চাইনি ।