এইতো সেই আঁকাবাঁকা মেঠো পথে
নতুন স্বপ্ন গড়ার এক পবিত্র শপথে
সকাল সাঁঝে যাওয়ার মাঝে মধুর
সুরে বলতো কথা আমার মিষ্টি সোনা পাখি ।
গুটিশুটি পায়ে চলতো সে ধীরলয়ে  
আর সুগন্ধি ছড়াতো মৃদুমন্দ মলয়ে
এক অপার্থিব সুখে নাচতো এই মন
শিহরণ জাগিয়ে পুলকিত হতো দুটি আঁখি ।


রাজ্যের মায়াভরা লাজুক সেই মুখ
শত বেদনা ভুলিয়ে দিতো স্বর্গ সুখ
পথহারা পথিক হয়ে মাঝে মধ্যেই
ইচ্ছায় অনিচ্ছায় যখনই চলছি এই পথে ।
বিষাদে মন ভরে উঠে পুরনো শোকে
চেঁচিয়ে কাঁদি না ভয়ে দেখবে লোকে
তড়িঘড়ি ঘরে ফিরি অবশ শরীরে
এ জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থ মনোরথে ।


যে পথপানে অপলক থেকেছি চেয়ে
সে পথে চলে বিষাদে মন যায় ছেয়ে  
সেই পথের প্রতিটি ধূলিকণা কত যে
দেয় সান্ত্বনা তবুও বোঝে না অবুঝ এ মন ।
বরং পথটির নিথর পড়ে থাকা দেখে
চাই গড়াগড়ি খাই ধুলিগুলোই মেখে
তার হাহাকার আমার বাড়ায় শোকের
ভার মনে হয় এজন্য পথও কাঁদে সারাক্ষণ ।


রচনাকালঃ- বেলা ৩:১১টা, রবিবার,  ২৩ পৌষ ১৪৩০, ৭ জানুয়ারি ২০২৩, মিরপুর,  ঢাকা ।