খবরদার ! খবরদার ! খবরদার !
যতই অভাবে পড় হে বন্ধু এ কথা
যেন ভুলেও কাউকে বল না আর...


যদি জানতে পারে তুমি অভাবি
তবে তোমার যুবতী সুন্দরী বৌকে
বুড়ো চাচারাও ডাকবে ভাবি !


সহানুভূতি দেখাতেও আসবে ঘরে
তোমাকেই দোষী বানিয়ে তোমার
বৌকে কুনজরে তাকাবে মন ভরে !  


তোমাকে দু'পয়সাও দেবে না ধার
কিন্তু বৌকে হাজার টাকা ধার দিয়ে
তোমার সংসার করবে ছারখার...


তবু যদি টাকা ধার চাও কারো কাছে
বলবে ভাই আমার কি অতো টাকা
আছে ? বরং তা গেয়ে বেড়াবে পাছে ।


তোমার অভাবে পড়ার কতনা কারণ
তারা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তোমায়
দেবে কতজনার কত শত উদাহরণ !


সব হারিয়ে যখন তুমি হয়েছ বেকার
চাকুরী কিবা ব্যবসার নামে প্রতারণা
করবে পাতিনেতা হতে খোদ সরকার !


নেতার ঘরের কুত্তার অসুস্থতা জেনে
ভালো ভালো খাবার দাবার কিনে
সেজেগুজে দেখতে যাবে কতজনে !


তোমার সন্তান সন্ততির কাছে কেউ
আসবে তো বহুদূরের কথা, সামান্য
ভুলত্রুটি পেলেই করবে ঘেউঘেউ...


কেউ করবে না সাহায্য দেবে না কাজ
বলবে না খেয়েছ কি খাওনি, বলবে
পুজো কেন দাওনি, কেন পড়না নামাজ ?


উপাসনালয়ে দেয় উপাসনার নির্দেশনা
কিন্তু কে কয়দিন খাদ্যাভাবে উপোস
করছে তারা এসব কিছুর ধার ধারে না ।  


অভাবী শুনে সবে চলবে তোমায় এড়িয়ে
কত তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে তোমাকে
যেতে হবে বন্ধু এই জীবন পথ পেড়িয়ে..


হ্যাঁ বন্ধু, এই তো মোদের আরাধ্য সমাজ,
যাদের সনে আজীবন করি বসবাস না
পড়লে বিপদে, বুঝিনা কে কত ধান্দাবাজ !  


রচনাকালঃ- রাত ১২:৫৪টা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।