ছিলাম তো মাষ্টার মশাই করোনায় করুণ দূর্দশাই
ক্ষান্ত হলনা আমায় বানিয়েও ফেরিওয়ালা ।
মাসের প্রথম সপ্তাহে ভাড়াটা আপডেট থাকা চাই
লকডাউন বুঝেনা টাউনের বাড়িওয়ালা  ।
কিস্তিও রাখল না স্বস্তিতে মহামারিতে মরে সবাই
আমারই মরণ লিখলো না উপরওয়ালা  ।


নরক নাকি মরণের পর হয় এখন সেটাই বোধহয়
হয়েছে যেন আমার ইহ জীবনে ।
কেউ এখন আর দেয়না পরিচয় বন্ধু বান্ধবও নির্দয়
বিরাগ ভাজন যত আত্মীয় স্বজনে ।
শুভাকাংখীর ভীড়ে সদা কাটত কতনা সুখের সময়
এখন অশ্রুজল সম্বল শুধু নির্জনে ।


মাঝে মাঝে সমাজে ঈদ পরবের মত আসে যখন
যত জাতীয় আনন্দ উৎসব ।
মনে হয় আমিই যেন সবচেয়ে বেশী অসহায় তখন
চারিদিকে চলে মহানন্দের কলরব ।
স্ত্রী সন্তানেরা সেদিন নেয় যেন স্বেচ্ছা কারাবাস মন
করে উদাস মলিন বদনে থাকে নীরব ।


জানি না আর কতনা দূর্দশা আর বুক ভাঙ্গা হতাশা
দেখতে হবে এই ভবে কতকাল ।
কোন পাপে নাকি কারো কোন অভিশাপে সর্বনাশা
আজ আমার হয়েছে এই হাল ।
দিনেই দেখছি তিমির অন্ধকার আর হারিয়েছি ভাষা
কে জানে কভু আসবে কি না সেই আশার সকাল ।

☆ অনেক পরিচিত জনের নিদারুণ বাস্তবতা অবলোকনে  এই কবিতা ।
রচনাকালঃ-বিকাল৫.৫১টা, বুধবার, ৬ শ্রাবণ ১৪২৮,
২১ জুলাই ২০২১, মিরপুর, ঢাকা ।