ফিরে এসো বন্ধু... জলদি এসো ফিরে,
আমি আজো আছি তোমায় ফিরে পাবার
অধীর অপেক্ষায় সেই তুরাগের তীরে ।
তুমি এসো ফিরে, আমার পর্ণকুটিরে
যেথা বসন্তের রঙে আর শরতের তারকা
খচিত রাতের আল্পনা এঁকেছি তোমাকে ঘিরে ।
তুমি এসো ফিরে....
তোমায় বিনা আজ ঘুঘু বেঁধেছে বাসা
ধুঁকে ধুঁকে মরে বেঁচে আছে আশা
আমার তিলে তিলে গড়া সেই স্বপ্ন নীড়ে ।
তোমায় পাবার আশায় সবুজে শ‍্যামলে
সুজলা সুফলায় সেজে উঠেছিল যে মরুদ‍্যান ।
কোন মতে বেঁচে আছে তবে খুব সহসাই
হতে চলেছে আবার সেই ধু ধু মরুতে বিরাণ ।
তাই মান অভিমান সব ভুলে যাই
আবার মিলেমিশে হই একাকার আমাদের
সেই কল্পনার জগতটাকে বাস্তবতার বর্ণিল
আল্পনায় মনের মতো করে সাজাই ।
ফিরে এসো‍ হে মোর আত্মার আত্মীয় পরম বন্ধু
সময় মতো না এলে হয়তো রচিত হবে আরো
একটি অমোচনীয় বিষাদসিন্ধু ।
তুমি আমি মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়াতাম
সেই যে কাশবনের তেপান্তরে ।
তোমায় হারিয়ে সেথা হতে আমার কানে বাজে
প্রতিদিন এক মোহন বাঁশি করুন সুরে ।
তুমি এসো ফিরে....
তোমাকে সাদরে করতে বরণ বুকে পেতে
নিতে ঐ দুটি গুটিসুটি রাঙা চরণ তুরাগের
তীরের দূর্বা কমল আর সাদা কাঁশফুলগুলো
ফুটে চলেছে ধীরে ধীরে সবুজের বুক চিড়ে ।
আজও সেই শিরীষের স্নিগ্ধ কমল মখমল
ফুলের সুবাস মনটা করে উদাস
হাজারো কাজের ব‍্যস্ততার ভীড়ে ।
তোমায় বিনা আমি কিনা অসহায় অচল
প্রায়শ থেমে যায় অলিন্দে অলিন্দে রক্ত চলাচল
বিষন্ন ব‍্যথা সদা করছে বিরাজ আমার প্রাণ চঞ্চল
বড় সাধের সেই শরীরে, তুমি এসো ফিরে,
তুমি এসো ফিরে বিশ্বস্ত বন্ধুত্বের খাতিরে
সৌহার্দ্যপূর্ণ বন্ধুত্ববিনা জীবন হয় কি রে ?
হয়তো তুমি দিব‍্যি ভুলে আছো আমায়
অথচ তোমার তরে আমার হৃৎপিণ্ডটিই যায় ছিঁড়ে ।


রচনাকালঃ- রাত ১১:৪৯টা, শুক্রবার, ১১ ভাদ্র ১৪২৯,
২৬ আগষ্ট ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।