জানি বাস্তবতা নিষ্ঠুর কিন্তু কবি শিল্পীদের
জন‍্য সে যেন রূঢ় আরও বেশী ।
তারা অন‍্যায়ের সাথে যেমন মোটে করে না
আপোষ তেমনি অর্থ উপার্জনেও উদাসী ।
আর বাস্তবতাও পাল্লা দিয়ে তেমনি তাদের
দুনিয়ার জীবনেই এনে দেয় নরক যন্ত্রণা ।
যদিও নীরবে সব বেদনা সয়ে সয়ে তবুও
সৃষ্টি করে চলে পাঠককে দিতে মন্ত্রণা ।
পুঁজিবাদের প্রবল দাপটে চিড়েচেপ্টা আজ
এই সুকুমার বৃত্তি লালনকারীগন ।
জীবিত কবিরা বড্ড উপেক্ষিত তবে কবিতা
বিনা বক্তব‍্যদানে বক্তার যেন ভরেনা মন ।
এ সমাজের কবিদের রিক্সাওয়ালাও তাচ্ছিল্য
করে তারা যদি ঘুরে কাঁধে নিয়ে ঝোলা ।
এ সমাজ শুধু তাদেরই সম্মান দিতে ব‍্যকুল
যারা বাড়ি গাড়ি কাড়ি কাড়ি টাকাওয়ালা ।
নেহাত প্রয়োজনেও তার সামান্য টাকা ধার
করা তো বামন হয়ে বাড়ানো চাঁদে হাত ।
যেন অনাদিকালের সুযোগ সৃষ্টি হলো সেই
কবিকে এবার করতে কুপোকাত ।
স্বভাবজাত কবি তবুও সবার কল‍্যান কল্পে
নিরলস চালিয়ে যান তার সৃষ্টি কর্ম ।
কবিতারাও স্বমহিমায় প্রকাশিত হয়ে পালন
করে যায় নিঃস্বার্থে সৃষ্টির এক বিচিত্র ধর্ম ।
স্বজন প্রিয়জন স্বদেশ প্রকৃতির প্রতি সবার
চাইতে তিনি হলেও বেশী সংবেদনশীল ।
শুধু অর্থ না থাকায় তার সব অনর্থক হয়ে
যায় ভেঙ্গে টুকরো হয় সেই সেরা দিল ।
স্বভাবতই কবি সত্ত্বা আর সম্পদ সংগ্রাহক
চরিত্র দুটি পরস্পর বিপরীত ।
কিন্তু ভোগবাদের উপদ্রুত দুনিয়ায় সম্পদ
শালীরা ছাড়া যে সবাই উৎপীরিত ।
তাই বলি কবির থাক যতই প্রখর অনুভূতি
উপলব্ধি পর্যবেক্ষণ প্রকাশের ক্ষমতা ।
শুধু অর্থাভাবে তার জন‍্য নেই যে সৌজন‍্যতা
নেই মায়া মমতা কবি দেখে নিষ্ঠুর বাস্তবতা ।


রচনাকালঃ- রাত ১১:৫৬টা, বুধবার, ১৬ ভাদ্র ১৪২৯, ৩১ আগষ্ট ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।