অগণিত প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম
মায়ের বাংলা ভাষা পেয়েছিলাম বাংলাদেশ ।
কিন্তু আজ তা নিয়ে কতেক শ্রেণির বেণিয়াদের
ভাগ বাটোয়ারায় কাণ্ড কীর্তির নাই শেষ ।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ দল বলে মুখে ফেনা তুলে
করে যাচ্ছে হালুয়া রুটি ভাগাভাগি ।
অতি উৎসাহি এই সব দলবাজদের দৌড়াত্বে
কত মেধাবী মুখ আজ হচ্ছে অভাগী ।
দেশপ্রেমিকের ছাপ্পা মেরে তারা ধাপ্পাবাজি ও
গলাবাজি করে করছে দেশটাকে গনধর্ষণ ।
আহা ! আবার সোনার ছেলে বলে তাদেরই
গলে পুষ্পমাল‍্যে করে আশীর্বাদ বর্ষণ !
মুক্তিযুদ্ধ কালে গর্তের কিছু ছুঁচো মুক্তিযোদ্ধার
ভুয়া সনদ নিয়ে বনেছে নিধিরাম সর্দার ।
অথচ বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সন্ততিরা
কেউ কেউ যোগাতেই পারে না আহার !
রাজনীতি সরকারি কর্মচারী আর কিছু সংগঠন
বুঝিবা দেশটাকে নিয়েছে ইজারা ।
যেন যুদ্ধে জিতেছে তাদের ক্রীতদাসেরা তাই
গণিমতের মাল হিসেবে ভোগ করে তারা ।
না হলে কি করে পারে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে
কেনা এদেশের সাথে করতে ছলাকলা ?
এমন রক্ত ঋণে জর্জরিত থেকে কিভাবে হয়
দায়িত্ব জ্ঞানহীন ভাবে রাষ্ট্রীয় পথ চলা ?
কি করে পারে কোন সুস্থ মস্তিষ্কের নাগরিকরা
তাদের কর্তব্য ভুলে থাকতে ?
কারো কোন সুযোগ আছে কি উন্নাসিক কিবা
কামুক রসিক দুবৃত্ত হবার স্বপ্ন আঁকতে ?
দেশ-ভাষা উভয় রক্তে কেনা, আছে তুলনা ?
বিশ্বে আমরাই নয় কি অতুলনীয় ?
উচিৎ ছিল বিশ্ব দরবারে আমাদেরকেই সবার
কাছে হতে অনুকরণীয় অনুস্মরণীয় ।
তা তো হইনি হয়েছি উল্টো স্বদেশ লুটেরা দস্যু
হয়েছি নজীর বিহীন জ্ঞাতি আত্মঘাতী !
তাই করজোড় অনুরোধ যত বাংলাদেশী, থাকি
না উদাসী হই বিশ্ব সেরা কৃতজ্ঞ জাতি ।


রচনাকালঃ- দুপুর১২.২৮টা, বুধবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪২৮, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, মিরপুর, ঢাকা ।