মুসলমানেরা দেয় পশু কোরবানি
খুশি হত মা কালি পেলে নরবলি ।
কত শত প্রথা প্রচলিত এমনি এ
ভবে কয়টার কথায় বা আর বলি !


কেউবা করে নামাজ রোজা হজ্জ  
কেউবা ঘৃত অমৃতে পূজা অর্চনা ।
কেউবা করে ধ্যান আরাধনা যজ্ঞ
কেউবা শুভ কামনা কিবা প্রার্থনা ।


যার যার তরিকায় প্রভুকে স্মরণে
রয়েছে হাজার রকমের পথ মত ।
এর আছে এক আরবী পরিভাষা
যাকে মুসলমানেরা বলে ইবাদত ।


প্রভু আদৌ খুশি কিনা বেজার ঐ
ইবাদতে যা এমনই আচার সর্বস্ব ।
কেউ বুঝি পারেনা অর্থাভাবে তা
করতে, যাতে কেউ হয় যে নিঃস্ব !  


স্রষ্টার সৃষ্টিকে মুগ্ধমনে যদি করি
পঞ্চইন্দ্রিয়ে অনুভব হই বিস্মিত ।
যদি প্রতিটি কর্ম কল্যাণের তরে,
সময়েরও সদ্ব্যবহার করি নিয়ত ।  


তবে জানি এসবও বড় ইবাদত
যা মর্মার্থ অনুভবে প্রভুকে পেতে ।
লোকাচারে অনুষ্ঠান আচারে শুধু
নয়, তাকে পেতে হয় দিল হতে ।


তাই,
সর্বদাই ইবাদতেই থাকি মশগুল
খাইতে-নাইতে আর হারহালতে ।  
ইবাদতেই কাটাতে হবে এজীবন
যে সর্বাবস্থায় ভবের জিন্দেগিতে ।



রচনাকালঃ- বিকাল- ৪.৩০টা, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪২৭,
৫ জিলকদ ১৪৪১, ২৭ জুলাই ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।