জন্মান্তরের দাস রে মনা  
তুই তো আজন্মেরই দাস !
আল্লাহ্‌র দাস নাহয়ে ভবে  
কেন তুই থাকিস রে উদাস ? ( ২ )


ছন্নছাড়া চলনে বলনে বল
তুই হেথা কিসের মুক্তি চাস ?
অন্তর চক্ষু দিয়ে দেখ তুই
তো কারো না কারোর দাস ।  


তুই দাস হয় পুঁজিবাদের
নয়তো করছ ভোগবিলাস ।
অন্তর চক্ষু দিয়ে দেখ তুই
তো কারো না কারোর দাস ।  


ঐ ( ২ )


নেশার দাস হয়ে যে নিত্য
তুই তো অখাদ্য কুখাদ্য খাস ।
অন্তর চক্ষু দিয়ে দেখ তুই
তো কারো না কারো দাস ।


রাজা বাদশা হয়েও দেখি
তোর প্রভু ভিনদেশী বদমাশ ।  
অন্তর চক্ষু দিয়ে দেখ তুই
তো কারো না কারোর দাস ।  


ঐ ( ২ )


স্বীয় প্রবৃত্তির দাস হয়ে যে
কত কর কুকীর্তির অভিলাষ ।
অন্তর চক্ষু দিয়ে দেখ তুই
তো কারো না কারোর দাস ।  


দাসই যখন হবে রে মনা  
কেন হও না আল্লাহ্‌র দাস ?
চিরমুক্তি পেয়ে যে স্বর্গে
করবেও চিরসুখে বসবাস ।    

রচনাকালঃ- দুপুর ১২টা বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬,
২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪১, ২১ নভেম্বর ২০১৯, মিরপুর, ঢাকা ।