শত বছরেও দেখেনি মানুষ এমন কঠিন
এক দূর্যোগকাল ।
একে তো করোনায় করুণ চিত্র তদুপরি  
অভাবে সবে নাকাল ।
তার উপর আছে যাদের কাঁধের জোয়াল
রূপী জঞ্জাল ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি ।
তাদের তো মরার উপর খাড়ার ঘা যারা
জীবদ্দশায় পায় নরকের শাস্তি ।
একদা সুদখোর কাবুলিওয়ালারা নাকি
সুদী কারবারে আসতো এদেশে ।
তাদেরই ঔরসজাত কিছু সন্তান আবার  
আবির্ভূত হয়েছে ঠিক তাদেরই বেশে ।
তারা করোনা করুণা কিছুই বুঝেনা বুঝে
শুধু করতে কড়ায় গণ্ডায় কিস্তি আদায় ।
আদা জল খেয়ে মাঠে নেমে তারা এখন
ঘরে ঘরে শুধু মানুষ কাঁদায় ।
করোনা কালীন সবার অবস্থা দৃষ্টে বুঝি
আজরাইলেরও হবে মায়া ।
কিন্তু ঋণ গ্রহীতার ঘরে বিভীষিকা যেন
ঐ কিস্তি ওয়ালার ছায়া ।
শুনলে তাদের মুখের ভাষা গর্ভবতীরও
হয় গর্ভপাত কিংবা দেয় আত্মহুতি ।
সবাইকে করতে পারলেও রাজি পারেনা
ওদের করে হাজারো কাকুতি ।
ওরা নাছোড়বান্দা.....
ছলে বলে কলে কৌশলে যাদের শুধুমাত্র
কিস্তি তোলাই ধান্দা ।
এদের চড়া সুদে মরা ছাড়া কেউ পারেনা
কখনই উঠে দাঁড়াতে ।
ব‍্যবসা তো দূরের কথা আজীবন পারেনা
ঋণের ঐ ক্ষতটাই সারাতে ।
ফলে জীবনভর জরিয়ে থাকে তারা সেই
ঋণেরই বেড়াজালে ।
যার চক্র হতে বেচারা ঋণ গ্রহীতারা আর
শতচেষ্টায় বেরুতে পারেনা কোন কালে ।
আসলে স্রষ্টার সবচেয়ে নিষিদ্ধ কাজে হতে
হয় চরম অভিশপ্ত ।
সংসারে মোটে থাকে না যে রহমত বরকত  
হকিকত হলে ঋণী হবেই অনুতপ্ত ।
দ্বের্থহীন ভাবে তাই বলছি এই জাতির কভু
আর আসবেনা যে সুদিন
যদি না এখনই বন্ধ হয় অভিশপ্ত শয়তানের
বিষ্ঠা সর্বনাশা এই ঋণ ।
হে আল্লাহ্ এই অভিশাপ থেকে মোদের মুক্তি
দিন । আমিন । আমিন । আমিন ।


রচনাকালঃ-বেলা৩.৪৪টা. মঙ্গলবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪২৮,  ৩ আগষ্ট  ২০২১. মিরপুর, ঢাকা ।