জন্মে যারা ল‍্যাংড়া খোঁড়া ট‍্যাঁরা
কিংবা কুৎসিত কালো ।
তাদেরকেই বুঝিবা প্রভু দয়াময়
বেশি বাসেন ভালো ।
যারা কিনা জগতে হয়েছে অনন‍্য
অপরূপ সুন্দর নরনারী ।
তারা বেশীর ভাগই হয়েছে পাপী
নয়তো বা অহংকারী  ।
পরিশেষে তাদের হয়েছেও দর্প
চূর্ণ অনাকাঙ্খিত পতনে ।
কালো কুৎসিতদের ভালো বেসে
তিনি যেন রেখেছেন যতনে ।
কুৎসিত চেহারা যেন তাকে করে
রেখেছে তার সুরক্ষা বর্ম ।
সেইতো করবে বিশ্বাস পরকালীন
জীবনের কথা বলে যার ধর্ম ।
দুনিয়ায় আত্মার বাহন এই শরীর
পায়নি যে তার স্বরূপের প্রকাশ ।
জান্নাতি হলে শারীরিক সৌন্দর্যের
মধ‍্যে রবে না খুঁতের অবকাশ ।
নবীজির (স) এক সাহাবা ছিলেন
হাফসি নিগ্রো কালো ।
শুধু বিয়েবিনা তার প্রায় সব সুন্নত
পালনে পুরা করা ছিলো ।
কেউই মেয়ে দেয়না শুনেই নবীজি
(স) এক আমিরের কাছে পাঠায় ।
আমিরের আপত্তি সত্বেও হযরতের
কথায় মেয়েটি রাজি হয়ে যায় ।
কিন্তু বিয়ের কাজ অসমাপ্ত রেখেই
সাহাবা যুদ্ধে জড়িয়ে গেলেন ।
তিনি শহীদ হলে নবীজি (স) কেঁদে
আবার উপরে তাকিয়েই হাসলেন ।
আকাশ থেকে হুরেরা যে আসছিল
ছুটে সবাই পাল্লা দিয়ে ।
তারা প্রতিযোগিতা করেছিল আগে
তাকে কে করবে বিয়ে ।
অনন্তকালীন জীবনে যাকে জান্নাতে
রাখতে চান বিধাতা ।
যে জন‍্যে তার রাখেন খুঁত তাই তার
মনকষ্ট নয় করা উচিৎ কৃতজ্ঞতা ।


রচনাখালঃ- সন্ধ‍্যা ৭.০৭টা, রবিবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, মিরপুর, ঢাকা ।