সবাইকে সবার অধিকার আদায়ে আজও রাজপথে  
করতে হয় আন্দোলন করতে হয় আর্ত চিৎকার ।
যদিও এ যুগটা করে সর্বাধুনিক সভ্যতার দাবীদার
কিন্তু নিজ থেকে কেউ কাউকে দেয় না যে ছাড় !  


আজও দাবী দাওয়া আদায়ে হয় রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম,
যদিও বলে গণতন্ত্রই নাকি দিয়েছে সব সমাধান ।
তবে কেন এই অধিকার; সেই অধিকার আদায়ের
তরে মহৎ প্রাণ সংগ্রামীদের দিতে হয় বলিদান ?


হে শ্রমিক জনতা তোমরাই তো যত প্রবঞ্চনার মূল  
হোতা, কিছু পেলে বানিয়ে তন্ত্র মন্ত্র কিবা নেতা ?
অথচ কোরআন ও হাদিসই তো দিয়েছিল সবেরই
সমাধান কিন্তু তোমরা তো অবজ্ঞায় মানো নি তা !  


আল্লাহ্‌ বলেছেন- শ্রমিকরা আমার বন্ধু, নবীও (সা)
বলেছেন ভেদ নাই তোমাদের ভাই অধীনস্থরাও ।
তা তাদের পড়াও খাওয়াও যা নিজেরাও খাও, ঘাম
না শুকাতে তাদের শ্রমেরও ন্যায্য মূল্য দিয়ে দাও ।


হে মার্কেটের ১লা মে এর শহীদদের জানালাম লাল
সালাম, তবে হে শ্রমিকেরা কতকাল রবে গোলাম ?  
ঐ গণতন্ত্রের প্রবক্তারাই তো সৃষ্টি করছে তৃতীয় বিশ্ব,
কারসাজি করে রেখেছে কমিয়ে সকল শ্রমের দাম ।      


যারা নীলকর আদায়কারীর ন্যায় ঐ পশ্চাৎপদ দেশের
৫ ডলারের পণ্য কিনে ৫০ ডলারে বেঁচে হয় ধন্য ।
তাদের কাছে অরণ্য রোদন করে দাবী আদায়ের তরে
কি লাভ রাজপথে মরে ? যারা কিনা ভদ্রবেশী বন্য !


শ্রমের ন‍্যায‍্য মূল‍্য ওরা দেবে না কোন কালেও, শ্রমিক
ঠকিয়ে ব‍্যবসার নামে যাদের পুঁজিপতি হবার ধান্দা !
তুমিই বা কেন আজীবন থাকবে হে শ্রমিক ? শ্রম শেষে
তার কাছেই চাও, অভাবমুক্ত যে বাদশার তুমি বান্দা ।


হলে হতে পারে শ্রমিকের ঘরে জন্ম তোমার তবে শ্রমিক
হয়েই তোমার মৃত্যু হবে এ তো নহে আমার কাম‍্য ।
গায়ে খাটার চেয়ে খাটাও মাথা কেউ তখন বলতে পারবে
না কথা, দেখ না দয়াময় তা দিয়ে করেছে যে সাম‍্য !


এ কথা আর কেউ তেমন বলবে না তোমায় কারণ তুমি
কারো দ্বারা শোষিত আর কারো উপরে উঠার সিঁড়ি ।
কেউ তোমার শ্রম ঘামে সম্পদের পাহাড় গড়ে, কেউবা
আবার দাবীদাবা আদায়ের নামে করছে দাদাগিরি ।


রচনাকালঃ- সকাল ৮.৩০টা শুক্রবার, ১৮ বৈশাখ ১৪২৭,
৭ রমজান ১৪৪১, ১ মে ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।