মহীরুহ’র পাদদেশে জন্মানো সবুজ ঘাস লতাগুল্ম কিংবা
তার ডালপালায় রাস্নার বর্ণিল ফুলে বাড়ায় বাড়তি শোভা ।
তাতে মহীয়ানও করে তোলে যে অনন্য শৈল্পিক সৌন্দর্যে  
শিল্পীর চোখে হয়ে উঠে তা কারুকার্যময় দারুণ মনলোভা !  


কিন্তু তার জীবনের প্রারম্ভে ওসব আগাছা বড়ই ক্ষতিকর
যদি আবার তার মস্তক হতে বিস্তার করে থাকে বনস্পতি ।
তবে তারে বেড়ে উঠতে যে গড়বে প্রতিরোধ অপ্রতিদ্বন্দ্বী
এ সর্বগ্রাসী কালক্রমে বনে যাবে একদা তারই অধিপতি ।


সাধারণের সাধারণ জীবন যাপনে কত হাপিত্যেশ, নানা
অনুযোগ অভিযোগ অজুহাত যা ঘটেও অতি তুচ্ছ কারণে ।
অসাধারণের অসাধ্য সাধনে একই কর্ম করে জনমনে যে
তারা অবদান রেখে চলে তাতে সুশিক্ষনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনে ।  


ভার নেবার তার সঙ্গত নহে যে রহে নির্ভার, অন্তর্দৃষ্টিতে
যে দেখেনা নিজকে হিতে বিপরীত করে সে পরোপকারে ।
দিনমান চলা ঘটমান সমস্যার সমাধান কিভাবে দেবে সে,
যদি শিরদাঁড়া ভেঙ্গে ফেলে স্বীয় শরীর তুল্য বেশী ভারে ?


রচনাকালঃ- সন্ধ্যা ৬.১৫টা শনিবার, ২৭ আষাঢ় ১৪৪১,
১৯ জিলকদ ১৪২৭, ১১ জুলাই ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।