এই সুন্দর বসুন্ধরা গড়া পরিপূর্ণতা পেল যার হাতে  
যেই তার অর্ধাংশের যোগ্য কৃতিত্বধারী ।  
সে আর কেউ নয়, যেন মৃণ্ময়, সে নারী ।  
সেই তো মমতাময়ী মা, সহদোরা বোন, স্নেহধন্যা
কন্যা, প্রেয়সী সহধর্মিণী, শ্রদ্ধার শাশুড়ি ।


যার গর্ভে জন্ম নিয়ে দুজাহানের হলাম আশরাফুল
মাখলুকাত, পেলাম সেরা সৃষ্টির মর্যাদা ।
তবে কেন রে আজ কতেক হারামজাদা.....
কেন এই মাতৃজাতির কর অসম্মান, কর রে অবহেলা,  
কেন দাওনা তাকে তার যথাযোগ্য মর্যাদা ?    


কেন তারে করিস বিজ্ঞাপনে বিক্রি, কেন বানিয়েছিস  
পতিতালয়ের পণ্য, এসব কেন; কার জন্য ?  
সেরা সেই গর্ভে জন্মেও কেন হে তুমি বন্য ?
কেন তুমি জানো না যার পদতলে তোমারই জান্নাত,  
শত সাধুর চেয়ে প্রভু যাকে করেছে অনন্য ?


নারীকে কেন ভাবিস রে আনাড়ি ? যে কঠোর শ্রমে
ঘামে বংশ প্রতিষ্ঠায় সাঁজায় তোমারই বাড়ি ।  
ভাবো হে নর কতটা মূল্য দিলে তুমি তারি ?
আমি তারে ভালোবাসি পরম মমতায় শ্রদ্ধায়, নিজকে
আল্লাহ্‌ ও রসুলের পর তাকেই উৎসর্গ করি ।


রচনাকালঃ- বিকাল ৪.৪২টা, শুক্রবার ২৪ ফাল্গুন ১৪২৫,
৩০ জমাদিউস সানি ১৪৪০, ৮ মার্চ ২০১৯ মিরপুর, ঢাকা ।