নির্ভুল কোরআনের কোন একটিও
কথা যারা করেছে অমান্য ।
খুঁজে দেখুন সেই সমাজ ব্যবস্থার
ক্ষতিও হয়েছে অসামান্য !
শাশ্বত ধর্ম ইসলাম সন্দেহাতীত
ভাবেই যে প্রাকৃতিক ।
কারণ, কোরআনে কেউই করেনি
কিছু সংযোজন মনোবৃত্তিক ।
তাই তার অমোঘ বাণী কখনোই
হয়নি, হবেও না ভূলুণ্ঠিত ।
জ্ঞান পাপীরা তার বিরুদ্ধাচারণে
তবু করে না মোটে কুণ্ঠিত ।
কোরআনের সব বাক্যের প্রামাণ্য
দলিলও ওরা চায়না মানতে ।
কত যে ভয়াবহ এর পরিণাম তাও
অবজ্ঞায় চায়না জানতে ।  
তারা তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থেই
তাই করে যাহা মনে চায় ।
এদের সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টাতে একদা
তারা সফলও হয়ে যায় ।
এরা নারীর স্বাধীনতা দিতে গিয়ে
সেটাই করেছে প্রমাণ ।
কোরআন নারীদের সম্মান দিলেও
এরাই করেছে অসম্মান ।
নারী স্বাধীনতার অন্তরালে এরাই
নারীকে বানিয়েছে ভোগ্যপন্য ।
তাই সকল নারীকে যত মাগীবাজ
আজ পণ্য বলে করে গন্য ।
এজন্য যারা প্রকৃতার্থে দায়ী তারা
তো একমাত্রই এই নারীবাদী ।
এরা মানবতার মুখোশধারী সবাই
হারামজাদা হারামজাদি !
এদের উস্কানিতেই নারীরা প্রদর্শন
করছে স্বীয় শরীরের বিজ্ঞাপন ।
এদের জন্যই নারী আজ তার ঘর  
ছেড়ে বাহির করেছে আপন ।
এদের জন্যই নারীর আজকে সব
চেয়ে ভয়াবহ এক সমাচার ।
এদের নির্মিত পতিতালয়ে নারীরা
আজ বেশুমার হচ্ছে পাচার !
হ্যাঁ, এরাই যে পতিতাবৃত্তির প্রকৃত
এবং নেপথ্যের পৃষ্ঠপোষক ।
এরাই শাসক বেনিয়াদের ছদ্মবেশী
সমাজের প্রকৃত শোষক ।
এরা না হলে ইসলামি আইনে নারী
হতো পূর্ণ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত ।
সম্মান ভালোবাসায় তারা পুরুষের
মণিকোঠায় থাকতো অধিষ্ঠিত ।
এদের জন্যই আশঙ্কাজনক ভাবেও
বেড়ে চলেছে নারী অবমাননা ।
এই একটি বিষয়ই বিশ্বময় বাড়ছে
সমূলে সমাজ ধ্বংসের সম্ভাবনা ।

রচনাকালঃ- সকাল ৮:১৬টা, বৃহস্পতিবার,  ২ জৈষ্ঠ্য ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।