আমি মানুষ, মাংসাশী প্রাণী, দেখেছ দুই দাঁত
অগ্রপাটিতে সূচালো; হ্যাঁ, আমি আমিষভোজী ।
আমার ভেতরের জানোয়ারটাকে শান্ত রাখতে
ঐ জানোয়ারদেরই খাই যারা শ্রেফ তৃণভোজী ।
আমি নাপাক গোমূত্র খাইনা শুধু গোমাংস খাই
আরও বেশী খাবো আহা, সুস্বাদু ঐ গোমাংস !
ঐ তোদের মত অত বকধার্মিক নিরামিষভোজী
হয়ে নৃমাংশ খেতে হবো না ওরকম নৃশংস ।
গেরুয়াধারী জটাধারী শাকাহারী ভং সেজে অমন
নিষ্ঠুর সংসার বিরাগী কস্মিনকালেও নাহি হবো ।
সভ্যপোশাকে পরিবার পরিজন মিলে প্রেমপ্রীতির
জগত গড়বো আর আমি আমিষভোজীই রবো ।
বেহুদা গেরুয়াধারী নিরামিষভোজী বনে রাখবো
না আর ভেতরের জানোয়ারটাকে ক্ষেপীয়ে ।
জানোয়ারের মাংস খেয়েই মনের জানোয়ারটাকে
দমিয়ে রাখবো, নৃমাংসতে পড়বো না ঝাঁপিয়ে ।
ওরে দুরাচারীরা সত্যিকার মানুষ যদি হতে চাও
নিরীহ নর হত্যার আচার সর্বস্ব ধর্ম ছেড়ে দাও ।
মানব প্রেমবিনা প্রভুর ক্ষমা পাবেনা, তাই খেও না
নৃমাংস, ভালো হতে চাও তো গোমাংসই খাও ।
রচনাকালঃ- বিকাল ৫.০১টা বুধবার,
২০ ফাল্গুন ১৪২৬, ৪ মার্চ ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।