সৃষ্টির কাছে আসলে কিইবা চাবে স্রষ্টা,  
তুমি কি তা কখনও ভেবেছ হে পথভ্রষ্টা ?
জ্ঞান বলে ধারণ করা কিছু তত্ত্ব উপাত্ত
তা নিয়ে জীবনভর তুমি যে থাকো মত্ত !
যা আওড়িয়েই পার করছ অমূল্য সময়
ভাবোনি তোমার প্রভু কতই না দয়াময় ।
দুনিয়ার জীবনকেই তো ভেবেছ জীবন
করে চলছ তাই যখন যা কিছু চায় মন ।
ধর্মকর্ম করেও বল প্রভুর পাওনি রহম
হয়তো বা অজান্তে করেছ ধর্মের অহম ।
অথচ পাপীও পেয়েছে পাপ হতে মুক্তি
তুমি কভু খুঁজে পাওনি যার কোন যুক্তি ।
কারণ প্রভু যে পছন্দ করেনা কভু তারি
যে নিষ্পাপ আর ধর্মে কর্মের অহংকারী ।
বরং মহাপাপীও যদি করে অনুশোচনা
তার প্রতি ঝরে যে প্রভুর অসীম করুণা ।
জানে দয়াময় কেউই ভুলের উর্ধ্বে নয়
তাই অনুশোচনাকারী হোক সবার হৃদয় ।
মানুষেরও দশ লক্ষ বছর আগে যে সৃষ্ট
ইবাদতের গর্ব করে সে হলো সর্বনিকৃষ্ট ।
এটাই নিষ্পাপ ও কঠোর ধর্মাচারীর ভুল
যাকে গুন ভেবে রয় অহংকারে মশগুল ।
এমন মহাভুলেও যে ধ্বংস মানব জাতি
বারবার একই ভুলে কেন হয় আত্মঘাতী ?


রচনাকালঃ রাত ১১:৫৫টা, ১৭ কার্তিক ১৪২৯,
২ নভেম্বর ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।